কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড! রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ, তুমুল চাঞ্চল্যে ব্যাপক শোরগোল


হায়দ্রাবাদ থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা ট্রেন থেকে জলঙ্গিতে পড়ে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল। রবিবার ধুবুলিয়া থানা এলাকায় জলঙ্গির চর থেকে এই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ থাকা ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম কামাল হোসেন (৩২)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদা এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। 

স্থানীয় ও প্রশাসনিক সূত্রে জানাগিয়েছে, বাড়িতে অভাব থাকায় কামাল হোসেন শ্রমিকের কাজ করতো। তার বাড়িতে স্ত্রী সন্তান রয়েছে। প্রায় দু' মাস আগে হায়দ্রাবাদে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন কামাল। কিন্ত কাজের জায়গায় বন্যা হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসছিলেন কামাল। 

শুক্রবার শিয়ালদহ থেকে তিনি বহরমপুরগামী ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর স্টেশন ছাড়ার কিছু সময়ের মধ্যে জলঙ্গি রেল ব্রিজের উপর চলন্ত ট্রেন থেকে তিনি পড়ে যান। ওই পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে থাকা লোকজনরা তার পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে দেয়। 

বাড়ির ছেলের এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা রেল পুলিশ থেকে প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে এই ঘটনার খবর জানায়। 

খবর পেয়ে কুইক রেসপন্স টিম, সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশের একটি টিম ছুটে আসে। ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয় নদীতে তল্লাশি। রাত পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকের কোন সন্ধান মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। 

কামাল হোসেনের এভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনা দুর্ঘটনা নাকি ফেলে দেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরিবারের লোকজন কামাল হোসেনের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন জানায়। 

এই ঘটনাকে ঘিরে নদী পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে পড়ে যায়। অবশেষে দেড় দিন পর ধুবুলিয়া থানা এলাকায় জলঙ্গির চরের কাছে স্থানীয় মানুষ পড়ে থাকতে দেখে। 

এ নিয়ে দাদা মেহেদি হাসান সেখ বলেন, 'আমরা ওঁর বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি গরমের জন্য ভাই ট্রেনের দরজার সামনে বসেছিল। আচমকা পড়ে যায়।' পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post