জিএসটিতে বড়সড় পরিবর্তনে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে ৯০ শতাংশেরও বেশি পণ্যের দাম


জিএসটি ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠকে জিএসটি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জিএসটি পরিষেবায় করের স্ল্যাবের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে গোষ্ঠী।  বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জিএসটি-তে পরিবর্তন এনে চার স্ল্যাব কমিয়ে দুই স্ল্যাব করার সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জিএসটি নিয়ে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, “আমরা নেক্সট জেনারেশন জিএসটি সংস্কার আনছি, যা দেশের সর্বত্র করের বোঝা কমাবে। এবছরের দীপাবলিতে আমি আপনাদের জন্য ডবল উপহার নিয়ে আসব।” 
জিএসটি ২.০-তে এই ব্যবস্থা আরও সরলীকরণের মাধ্যমে সাধারণ পরিবার এবং ছোট ব্যবসার উপর থেকে চাপ কমানোর প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুসারে, আগে ১২ শতাংশ করের স্ল্যাবে থাকা ৯৯ শতাংশ পণ্য এখন পাঁচ শতাংশ করের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হবে। একইভাবে, ২৮ শতাংশ স্ল্যাবের আওতায় থাকা ৯০ শতাংশ পণ্য ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হবে। পুরনো কর কাঠামোয় মোট চারটি স্ল্যাব ছিল। এগুলি হল ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নতুন ব্যবস্থায় ১২ এবং ১৮ শতাংশ্যের স্ল্যাব বাতিল হয়ে যাবে। বেশিরভাগ পরিষেবা পাঁচ এবং ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে চলে আসবে। অন্যদিকে তামাকজাত পণ্যের উপর আলাদাভাবে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এগুলিকে ‘পাপ পণ্য’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে নতুন কাঠামোয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর জিএসটির হার কমলে সাধারণ পরিবার, কৃষক এবং মধ্যবিত্তদের জীবনে স্বস্তি আসবে। ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, জুতো এবং বেশ কিছু গৃহস্থালী পণ্য পাঁচ শতাংশ করের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টেলিভিশন এবং অন্যান্য পণ্য আগের ২৮ শতাংশের পরিবর্তে ১৮ শতাংশ করের আওতায় আসবে। পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তর ক্রয়ক্ষমতা বাড়তে পারে। ফলে পণ্যের চাহিদা বাড়বে। পরোক্ষে বাড়বে উৎপাদন। যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর হতে পারে, এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

Post a Comment

Previous Post Next Post