উত্তরে ফের দুর্যোগ! মন্থা এগোলেই বিপদ, জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট


ঠিক পুজোর পরই প্রবল দুর্যোগের সাক্ষী থেকেছে উত্তরবঙ্গ। একের পর এক মৃতদেহ ভেসে এসেছে নদীতে। ঘর হারিয়েছে বহু মানুষ। প্রবল বৃষ্টি আর ভূমিধসে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে এখনও বেগ পেতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মানুষকে। এরই মধ্যে ফের আশঙ্কার মেঘ। ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা। সাইক্লোন মন্থা ল্যান্ডফলের পর যে অভিমুখে এগোবে, তা উত্তরের জন্য খুব একটা ভাল নয়।

হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ, যা ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিচ্ছে। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে সেই ঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সেই ঝড়ের খুব বেশি প্রভাব বাংলায় পড়বে না, তবে প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে।

এদিকে, ল্যান্ডফলের পর যে অভিমুখে সাইক্লোন এগোবে তা হল, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ পেরিয়ে, উত্তর প্রদেশ। হিমালয়ের কোলে পর্যন্ত ওই নিম্নচাপ এগিয়ে যেতে পারে। তার জেরেই প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। মূল আশঙ্কা থাকছে উত্তরবঙ্গে।

আগামী বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং এ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে সবথেকে বেশি আশঙ্কা রয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবর, শুক্রবার। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ উত্তরের প্রায় সব জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নেপালে ও সিকিমেও হবে প্রবল বৃষ্টি। ওই দিনই উত্তরের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অক্টোবরের শুরুতেই প্রবল দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় একাধিক সড়ক, কোথাও কোথাও ভেঙে পড়ে সড়ক। এরই মধ্যে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে। শক্তিও বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের। মঙ্গলবার বিকেলে বা রাতে অন্ধ্র প্রদেশের কাঁকিনাড়া উপকূল দিয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় রূপে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post