ভবানীপুরে প্ল্যানিং করে বহিরাগত বাড়ানো হচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পরিকল্পিত ভাবে বহিরাগতের (আউটসাইডার) সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর পর্যবেক্ষণ, বস্তি তুলে দিয়ে বহুতল নির্মাণের ফলেই এই সমীকরণ বদলে যাচ্ছে এবং এতে গরিব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুরে বহিরাগতদের বাড়বাড়ন্তের উপরে নজর রাখার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিলেন তিনি।

নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ থেকে ভার্চুয়ালি বিজয়া সম্মিলনী করেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী পাহাড় থেকে ফোনে ভাষণ দেন। সেই ভাষণ লাউড স্পিকারে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের শোনানো হয়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার–সহ দক্ষিণ কলকাতার জোড়াফুলের কাউন্সিলার, নেতারা ছিলেন এই সভায়।

এ দিনের সভায় ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের (সার) প্রসঙ্গেই মমতা নিজের কেন্দ্রে বহিরাগতদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন করে যদি ভোটার লিস্ট হয়, প্রত্যেককে নতুন করে নাম তুলতে হবে। বিএলএ (বুথ লেভেল এজেন্ট)–দের এই বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে। এঁরা কর্মী, কেউ নেতা নন। কিন্তু এঁরাই দলের সম্পদ।’

মমতার সংযোজন, ‘আমি দেখেছি, অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে বড় বড় বাড়ি হচ্ছে। আমি একে সমর্থন করি না। ভবানীপুরে আউটসাইডার দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্ল্যান করে। যাঁরা বাংলায় থাকেন, তাঁদের আউটসাইডার বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে টাকা খরচ করে, জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করছে, লোকাল কাউকে কিছু টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে (তাদের বলছি)।...দল আগে কেন আমরা বুঝব না? গরিব মানুষ আগে কেন বুঝব না? এই ব্যাপারগুলোতে নজর রাখলে ভালো হয়।’


Post a Comment

Previous Post Next Post