ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনীতে উত্তর থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


পরিকল্পনামাফিক বহিরাগতদের দিয়ে ভবানীপুর অঞ্চলকে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হঠাৎ করে কিছু লোক বাইরে থেকে এসে জমি কিনে বাড়ি-ফ্ল্যাট তৈরি করছে। গরিব মানুষগুলোকে সরে যেতে হচ্ছে। মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভার বিজয়া সম্মিলনীতে এ-কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এই মুহূর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন ও তার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোন মারফত বিজয়া সম্মিলনীতে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বহিরাগত-এসআইআর সহ একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে বার্তা দেন নেত্রী। একইসঙ্গে এই সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভবত ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশ্চিতভাবেই তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। এই কেন্দ্রে তৃণমুলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিজেদের সবটুকু দিয়ে মাঠে নামতে হবে। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে বিজেপিকে হারাতে হবে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর থেকে এক লক্ষ ভোটে আমরা জেতাব। চতুর্থবারের জন্য ফের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন আমাদের প্রাণপ্রিয় জননেত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি এসআইআর-এর নামে বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। লক্ষ রাখতে হবে একজন বৈধ ভোটারেরও যেন নাম বাদ না যায়। গরিব মানুষদের সরিয়ে না দিয়ে আমরা সেই বস্তিতে বাংলার বাড়ি করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সব শ্রেণির মানুষই থাকেন ভবানীপুরে। আমরা সব ধর্মের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়েই চলি। এটাই বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি। সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বলেন, সামনে কালীপুজো-দীপাবলি-ছটপুজো। সবটাই ভাল করে করতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। এদিনের বিজয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন, মালা রায়, ইন্দ্রনীল সেন, দেবাশিস কুমার, মদন মিত্র, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, পাপিয়া সিং, সন্দীপ বক্সি, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, দেবলীনা বিশ্বাস, সুস্মিতা ভট্টাচার্য, রেহেনা খাতুন, অসীম বসু-সহ নানা ধর্মের প্রতিনিধিবৃন্দ।

Post a Comment

Previous Post Next Post