মদ্যপ বাইকারের দোষেই কি পুড়ল কুর্নুলের বাস?


অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এসি বাসে আগুন লেগে ২০ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ী কি বাসের চালক? প্রাথমিক ভাবে সেটা মনে হলেও প্রশ্ন তুলে দিল ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি সিসিটিভি ফুটেজ।প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী এসি বাসটিতে ধাক্কা মেরে বাসের নীচে ঢুকে যায় একটি বাইক।

বাইকটির জ্বালানি ট্যাঙ্ক লিক করেই বাসে আগুন লাগে। বাইকচালক, বছর বাইশের বি শিবশঙ্করের দেহও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়। শনিবার সামনে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ, দুর্ঘটনার আধ ঘণ্টা আগে একটি পেট্রল পাম্পে থেমেছিলেন শিবশঙ্কর। পাম্পে কাউকে না পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। তার পরে স্ট্যান্ড রাখা বাইকটাকে বিপজ্জনক ভাবে ঘুরিয়ে স্পিডে বেরিয়ে যান। বাইকের টাল সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর, যা দেখে পুলিশের অনুমান— নেশার ঘোরে বাইক চালাচ্ছিলেন শিবশঙ্কর।

সিসিটিভি ফুটেজ আরও দেখা গিয়েছে, বাইকে আরও এক আরোহী ছিলেন। শিবশঙ্করের সেই সঙ্গী, নানি এখন পুলিশি হেফাজতে। তাঁর আবার দাবি, পেট্রল পাম্প থেকে বেরোনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের বাইকটি পিছলে যায়। ছিটকে পড়েন দু’জনে। নানির দাবি, তিনি রেলিং পেরিয়ে পাশের ঝোপে পড়লেও শিবশঙ্কর রাস্তায় ছিটকে পড়েন। সেখানেই মাথায় চোট পেয়ে মারা যায় তিনি। নানির দাবি, এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসটি আসে। অন্ধকারে দেখতে না পেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা বাইকটিকে টেনে নিয়ে যায় বাসটি। তার পরই বিস্ফোরণ ও আগুন!

তবে শুধু জ্বালানি ট্যাঙ্কে লিকেজ নয়, বাসে থাকা ৪৬ লক্ষ টাকার ২৩৪টি স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফেটে আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। হায়দরাবাদের একজন ব্যবসায়ী এই বিপুল সংখ্যক ফোনের পার্সেল বেঙ্গালুরুতে ই–কমার্স কোম্পানিকে পাঠাচ্ছিলেন। বাসে আগুন লাগায় সেই ফোনের ব্যাটারিগুলো ফাটতে থাকে, তাতেই আগুন আরও বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের ডিজি পি ভেঙ্কটারামন জানান, স্মার্টফোনের পাশাপাশি বাসের এসি সিস্টেমের ইলেকট্রিক্যাল ব্যাটারিতেও বিস্ফোরণ ঘটেছিল। আগুনের তাপ এতটাই বেশি ছিল, বাসের অ্যালুমিনিয়াম ফ্লোর পুরো গলে গিয়েছে!

Post a Comment

Previous Post Next Post