‘গণধর্ষণকাণ্ডের’ প্রতিবাদে দুর্গাপুরে ধর্নায় বসেছে বিজেপি। সেই ধর্নামঞ্চ খুলতে আসায় সোমবার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিবাদ বাধল পুলিশের। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশ ধর্নামঞ্চ খুলতে পারেনি। পরে সেখানে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সঙ্গে নিয়ে যান দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ‘নির্যাতিতা’ ডাক্তারি ছাত্রীর বাবাকেও।
সোমবার সকাল থেকেই দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বেলার দিকে সেখানে পুলিশ যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের তরফে ধর্নামঞ্চ খুলে ফেলার জন্য বলা হয়। এর পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁর সঙ্গে এক পুলিশ অফিসারের বচসাও বাধে। এর পরেই সেখান থেকে চলে যান ওই পুলিশ অফিসার।
বিজেপি-পুলিশের বচসার পরেই ধর্নামঞ্চে শুভেন্দু পৌঁছোন। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ‘নির্যাতিতা’র বাবা। পরে ধর্নামঞ্চ থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, ‘‘এ সব কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। ক্ষমতা থাকলে একটা চেয়ারও সরিয়ে দেখান।’’ এর আগে দুর্গাপুরের ঘটনায় তৃণমূল-যোগের দাবিও করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এক অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলের ক্যাডার।
প্রসঙ্গত, ‘গণধর্ষণকাণ্ডে’ রবিবার রাতে দুর্গাপুর পুরনিগমের এক অস্থায়ী কর্মীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। দুর্গাপুরের ঘটনায় ধৃতদের সকলেরই ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখনও আটক রয়েছেন অভিযোগকারী তরুণীর বন্ধু-সহপাঠী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থেও ওই যুবককে আটক রাখা হয়েছে। অভিযোগপত্রে মোট পাঁচ জনের নাম লিখেছিলেন তরুণী। তাঁদের মধ্যে চার জন ধরা পড়েছেন।