গোটা দেশে সমস্ত রাজভবনের নাম পাল্টে লোকভবন করা হোক বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাস হয়। যুক্তি ছিল, রাজভবন নামটির সঙ্গে রাজত্ব করার ধারণা জড়িয়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়। শেষ পর্যন্ত, শনিবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেই রাজভবনের নাম পরিবর্তনের সূচনা হল। এদিন রাজ্যপাল বোস বলেন, "রাজ্যের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজ থেকে আর রাজভবন নয়, বরং লোকভবন।" রাজ্যপালের গাড়িতেও এদিন রাজভবনের পরিবর্তে লোকভবন স্টিকার লাগানো হয়। (CV Ananda Bose)
এদিন নাম পরিবর্তনের পরই রেড রোড ধরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে পৌঁছন রাজ্যপাল বোস। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চকোলেট বিলি করেন শিশুদের মধ্যে। সেখানে চা-ও পান করেন তিনি। রাজভবনের উত্তর ফটকে কখনও এর আগে সাংবাদিক বৈঠক হয়। এদিন সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল বোস। কলকাতার রাজভবনের নাম সর্বপ্রথম লোকভবন করায় প্রশ্ন উঠছে, বাংলাই কি তাহলে পথ দেখাচ্ছে? রাজ্যপাল জানান, মানুষই পথ দেখাবেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাজভবনের এতদিনের হ্যান্ডলের নাম পরিবর্তন করে লোকভবন হয়েছে। সেখান থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, 'রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সুপারিশে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, তদানীন্তন রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তখনই রাজভবনের নতুনযুগের সূচনা হয়- জন রাজভবন। মানুষের আশা স্বপ্ন, তাঁদজের সমস্যা, প্রয়োজন বুঝেই এই ভাবনা আসে। জন রাজভবনের লক্ষ্য ছিল মানুষের সেবা করা, যেখানে প্রয়োজন সেখানে পৌঁছে যাওয়া। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হিংসা হোক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, নৃশংসতার অভিযোগ, জন রাজভবন সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপ্রেরণা, বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে, সর্বসম্মতিতে দেশের সমস্ত রাজভবন এবং রাজ নিবাসের নামকরণ লোক ভবন এবং লোক নিবাস করা হল'।