নভেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রা কমল সিকিমে (Sikkim)। সেই সঙ্গেই পড়ছে বরফ। ভারত-চিন সীমান্ত সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। নাথুলা পাস, বাবা মন্দির, লাচুং, লাচেং ছাঙ্গু লেকে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। শীতের শুরুতেই এই আবহাওয়ায় উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। কিন্তু এর মাঝেই শুক্রবার নাথুলা এলাকায় তুষারপাতের ফলে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। শুক্রবারে উত্তর সিকিমে লাচুং থানার ইউমিসামডং এলাকা ও চুংথাং-এ ভারী তুষারপাত হয়েছে। বাড়ি-ঘর রাস্তাঘাট, গাছ সবই বরফে ঢেকেছে। পর্যটক ও স্থানীয়রা সেই দৃশ্যে একপ্রকার অভিভূত।
শীতের মরশুমের শুরুতে তুষারপাতের ফলে খুশি স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। এই সময়ে তুষারপাত আরও পর্যটকদের টানবে বলেই আশাবাদী তারা। কিন্তু এর মাঝেই রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আজ, শনিবার সিকিমে তুষারপাত চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বেশিরভাগ রাস্তা বরফে ঢেকে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ রুটে যানবাহন চলাচল ব্যাহত। এই অবস্থা আগামী ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু সবচেয়ে সমস্যার বিষয় হল রাস্তাঘাট পিছল হয়ে পড়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পর্যটক এবং পরিবহন মালিকদের উঁচু জায়গায় ঘুরতে যাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ইতিমধ্যেই ওই রাস্তাগুলি পরিষ্কার রাখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, এবং রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলা দলগুলিকে প্রস্তুত রেখেছে।
শনিবার পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক জানিয়েছে ইতিমধ্যে, এনবিএ ২০০২ সালের বায়ো ডাইভারসিটি আইনে বর্ণিত অ্যাক্সেস এবং বেনিফিট শেয়ারিং কাঠামোর অধীনে উত্তর প্রদেশ এবং সিকিমের বায়ো ডাইভারসিটি ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলিকে (বিএমসি) ৮.৩ লক্ষ টাকা দিয়েছে। সেই টাকা সরাসরি দুটি বিএমসিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল: উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলার আক্রাবাদ কৌল তালুকের নারাউ গ্রামের জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং সিকিমের আরিতারের লাম্পোখারি হ্রদ এলাকার জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা কমিটি।