সামনেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার মাত্র কয়েক মাস আগে কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা অমল আচার্য। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। আসন্ন নির্বাচনের আগে তাঁর কংগ্রেসে যোগদানকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দলবদল। চরম চাঞ্চল্য বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য এবার যোগ দিলেন কংগ্রেসে। বুধবার উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের রাজ্য পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর, রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এবং জেলা সভাপতি মহিত সেনগুপ্তের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ইটাহার এলাকার বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকও এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। উল্লেখ্য অমলবাবু ইটাহার থেকে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন।
অমল আচার্য ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টানা দু’বার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০২১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল টিকিট না দেওয়ায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু বিজেপিতে তেমন সক্রিয় ভূমিকা না পাওয়ায় অবশেষে ফের দলবদল। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর এই দলবদল উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে।
কংগ্রেসে যোগদানের পর অমল আচার্য বলেন, “আমি দু’বার বিধায়ক ছিলাম, তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলাম। কিন্তু ২০২১-এ আমাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল আজ যে তৃণমূল আছে, সেটা আর আগের তৃণমূল নয়। কংগ্রেসই আমাদের আসল ঘর। আমরা জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করব এবং কাজের মাধ্যমেই আমাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করব।”
বাংলায় এআইসিসি পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর বলেন, “বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছে। কেন্দ্র বা রাজ্য দুই সরকারই যুবসমাজের জন্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। অমলের মতো আরও অনেক পুরনো নেতা কংগ্রেসে ফিরে আসবেন।”