সাফাই অভিযান! স্ক্র্যাপ বিক্রি করে সরকারি আয় ১ মাসে ৮০০ কোটি


চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ পাঠাতে ভারতের খরচ হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা। কিন্তু সরকারের ঘরের আমদানি ছাপিয়ে গেল সেই অঙ্ককে, আর সেটাও নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্ক্র্যাপ বিক্রির টাকা! এক মাসে পুরোনো যন্ত্রাংশ বা ই–ওয়েস্ট এবং সরকারি পুরোনো ফাইলপত্র বিক্রি করে কেন্দ্রীয় সরকার আয় করেছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা!

২০২১ সাল থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস–কাছারিতে শুরু হয়েছে এই সাফাই অভিযান। ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চালানো হয় এই স্বচ্ছতা ড্রাইভ। সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে স্ক্র্যাপ বিক্রি করে এখনও পর্যন্ত মোট ৪,১০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের।

তার মধ্যে অক্টোবরের ৮০০ কোটি টাকা আয় সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, গত মাসের এই স্বচ্ছতা অভিযানে অফিসগুলোর প্রায় ২৩২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে। ২৯ লাখ পুরোনো ফাইলপত্র সরানো হয়েছে। ৮৪টি মন্ত্রকের সহযোগিতায় ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভ্যান্সেস সংগঠিত এই অভিযানের আওতায় আনা হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার অফিসকে। গোটা ড্রাইভটির নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, কে রামমোহন নাইডু এবং জিতেন্দ্র সিং।

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিজি়টাইজ়ড ইন্ডিয়ার উপরে জোর দিয়েছেন মোদী। সূত্রের খবর, ২০২১ থেকে ২০২৫–এর মধ্যে লাল ফিতের ফাঁসে আটকে থাকা একাধিক ফাইল ক্লিয়ার করিয়েছে মোদী সরকার। আর পর সব তথ্য ডিজিটাইজ়ড করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে পুরোনো ফাইলের বোঝা।

Post a Comment

Previous Post Next Post