বাংলাদেশের পাশাপাশি চিনে জোরালো কম্পন, ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক


ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। ৪ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে হালকা ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

বৃহস্পতিবার ভোরে (৪ ডিসেম্বর, ২০২৫) বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হল। সকাল ৬টা ১৪ মিনিট নাগাদ ৪.১ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নারায়ণগঞ্জের পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলায়, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার গভীরে। যদিও আজকের ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজিও জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১ এবং কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকা সংলগ্ন নরসিংদী এলাকায়। গত মাসেই ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ শহর হিসেবে বিবেচিত। ১৮৬৯ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৭ মাত্রার ওপরে পাঁচটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। 

এদিন বাংলাদেশের পাশাপাশি চিনের জিনজিয়াং প্রদেশসহ আশপাশের একাধিক অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। ভারতীয় সময় সকাল সাতটার কিছু সময় পর ভূমিকম্প আঘাত হানে। আচমকা প্রবল ঝাঁকুনি অনুভূত হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বহু বাসিন্দা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। উল্লেখ্য চলতি বছরের শুরুতে চিনে ৭.১ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Post a Comment

Previous Post Next Post