নিজস্ব প্রতিবেদন: আবার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শহর। এবার আহিরীটোলায় ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ। উদ্ধারকাজ শুরু হলেও ২ জনের এখনো আটকে থাকার আশংকা রয়েছে।
ভেঙে পড়া বাড়িটিতে কাঠের পাটাতন এবং অন্যান্য পাথরের চাঁই পরে থাকায় উদ্ধারকারী দল চেষ্টা করছে দড়ি ধরে টেনে সেগুলিকে সরাতে। নাহলে সেগুলি আরও ভেতরে পরে গিয়ে আটকে থাকা মানুষের আহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া মানুষের মধ্যে ২ জন কে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো অবধি আরও ২ জনের আটকে থাকার আশংকা করছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার হওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাস্থলে পৌঁছান মন্ত্রী সুজিত বসু এবং শশী পাঞ্জা। সুজিত বসু বলে, "সবাই এখানে রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ২ জন কে উদ্ধার করতে পড়েছি। আসা করছি অন্য ২ জন কে খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধার করতে পারব। যাদেরকে উদ্ধার করেছি তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি কঠিন কিন্তু আমরা তারাতারি উদ্ধারকাজ করতে পারব"। মন্ত্রী শশী পাঞ্জা জানিয়েছেন, "আহিরীটোলা ডালপট্টি অঞ্চলে বাড়িটি ধসে পড়েছে। সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সকলে মিলে এই কাজ করছে। ২ জন কে উদ্ধার করা হয়েছে। আরো ২জনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে"।
দুপুর ১১.১৫: উদ্ধার হল এক শিশু
১১.২০: কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "সারা কলকাতায় ১০০ টা এরম বাড়ি আছে। এগুলো যেকোন সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। মালিক এবং ভাড়াটের গন্ডগোলে মালিক বাড়ি মেরামতের আগ্রহ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু জোর করে উচ্ছেদ করার আইন নেই। আবার কাউন্সিলর উচ্ছেদ করতে গেলে বলে প্রোমোটারের সঙ্গে যোগসাজশ করে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় আদালত যদি সুরক্ষা দিয়ে তাদের সরায়, যেভাবে পৌরসভা জানিয়েছে ভাড়াটেদের নাম নথিভুক্ত করে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে বাড়িওয়ালার প্ল্যান অনুমোদন হবে, তাহলে কাজ অনেক সহজ হবে। আমি অনুরোধ করব এরম পুরোন বাড়ি, আদালতের সাহায্যে যদি ঠিক করা যায় তাহলে সুবিধা হয়"।
১২.০৪: মৃত উদ্ধার হওয়া শিশু