"নায়কা" (NYKAA) শপিং অ্যাপ থেকে প্রতারণার শিকার বেহালার এক বাসিন্দা। খোয়ালেন প্রায় ৩৭ হাজার টাকা।


এবার নায়কা (NYKAA) শপিং অ্যাপ থেকে প্রতারণার শিকার হলেন বেহালার এক বাসিন্দা । খোয়ালেন প্রায় ৩৭ হাজার টাকা ।

সামনে পুজো কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় বেশিরভাগ মানুষেরই ঝোঁক বেড়েছে অনলাইন শপিং এর দিকে।। কিন্তু এখানেই ফাঁদ পেতে বসে আছে দুষ্কৃতীরা। যেকোনো মুহূর্তে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে আপনার থেকে হাতিয়ে নিতে পারে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ। 

এমনই এক ঘটনা ঘটলো বেহালার বাসিন্দা ধীরেন অধিকারীর সাথে। তার মেয়ে অয়ন্তিকা অধিকারী নায়কা (NYKAA) অ্যাপ ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে শপিং করতেন তার বাবা ধীরেন বাবুর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। 
কিন্তু গতকাল তার ফোনে "নায়কা" অ্যাপের নামে একটি ভুয়ো ফোন কল আসে যেখানে তাকে নায়কা অ্যাপ থেকে শপিং করার জন্য অফার দেওয়া হবে বলে জানায় । সেইমতো কিছু অর্থ ধার্য্য করা হয় অফারটি পাওয়ার জন্য । বীরেন বাবুর মেয়ে অয়ন্তিকা অধিকারী আমাদের জানান,
তাকে বলা হয় প্রথমে ৫০০০ টাকা পাঠাতে হবে একটি google pay নম্বরে। সেই কারণে ফোন কলের ওপারে থাকা ব্যক্তি একটি গুগোল পে একাউন্টও পাঠায় তাকে। এবং বলা হয় ওই অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকা পাঠানোর জন্য । প্রথমে অয়ন্তিকা সেই টাকা পাঠাতে না চাইলেও পরে যখন নায়িকা কোম্পানির এমপ্লয়ি আইডেন্টিটি কার্ড ( EMPLOY IDENTITY CARD) এর ছবি তাকে হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠানো হয় তখন তিনি বিশ্বাস করে সেই টাকা পাঠিয়ে দেন ওই অজ্ঞাত নাম্বারে । এরপর থেকেই একের পর এক তার থেকে পেমেন্ট চাওয়া হতে থাকে অফার এর জন্য এবং সেই মতো টাকাও পাঠাতে থাকেন অয়ন্তিকা । প্রায় ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাতের পর এই নম্বর থেকে অয়ন্তিকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় জালিয়াতরা । নায়কা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায় এই ধরনের কোন অফার অথবা ফোন কল তাদের সংস্থার তরফে করা হয়নি । তখনই অয়ন্তিকা এবং তার পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে তাদের সাথে জালিয়াতি করা হয়েছে । বেশি দেরি না করে সাথে সাথে বেহালা পর্ণশ্রী থানায় তারা অভিযোগ দায়ের করে এবং পর্ণশ্রী থানার তরফ থেকে লালবাজার সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় । পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তারা তদন্ত চালিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন । কিন্তু প্রশ্ন এখন একটাই খোয়া যাওয়া এত পরিমান টাকা কি আদৌ ফেরত পাবেন তার মালিক! যদি ফেরত পায় কতদিনই বা সময় লাগবে এই তদন্ত সম্পন্ন হতে ! এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা. 
মুখে একরাশ হতাশা নিয়ে সেই পথ চেয়ে আছেন বীরেন বাবুর পরিবার ।

Post a Comment

Previous Post Next Post