ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা এবং পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনার পর, রাতে ‘মা’ ফ্লাইওভারে মোটর বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই নিয়ম উঠে যাচ্ছে বর্ষবরণের রাত থেকে। তবে, গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে মোটর বাইক–স্কুটির চালকদের। তা না হলেই দিতে হবে ফাইন।
এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় উড়ালপুলে ফের বেপরোয়া বাইক চালকদের দৌরাত্ম্য বাড়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন শহরবাসীর একাংশ। যদিও পুলিশের আশ্বাস, দিন হোক বা রাত — ফ্লাইওভারের নজরদারিতে ২৪ ঘণ্টাই মোতায়েন থাকেন পুলিশকর্মীরা। তা ছাড়া কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভিতেও নজরদারি চলে। ফলে বেপরোয়া মোটর বাইকের চালকরা পার পাবেন না — এমনটাই মনে করছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি বর্ষবরণে শহরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে লালবাজার। এই দু’দিনের জন্য ৪,৫০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। এ বিষয়ে শনিবার লালবাজারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘মদ্যপ অবস্থায় মোটর বাইক নিয়ে দৌরাত্ম্য এবং মহিলাদের কটূক্তির মতো কোনও ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। শহরবাসীর নিরাপত্তায় সব রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ, এসটিএফ–এর নজরদারি থাকবে।’
রাজ্যে এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক সন্দেহভাজন জঙ্গি ধরা পড়ছে। তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেরও যোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতিও অস্থির। এ রাজ্যে ধরা পড়েছে বেশ কিছু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। সেই কারণে বর্ষবরণের রাতের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, অপরাধ ঠেকাতে স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে। সেই টিমের সদস্যরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় থাকবেন। তা ছাড়া হোটেল থেকে শুরু করে দর্শনীয় জায়গাগুলিতে থাকবে তাঁদের নজরদারি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেপরোয়া মোটর বাইক এবং গাড়ি চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণে ৫০টি নাকা চেকিং পয়েন্টও করা হচ্ছে।