‘রোল-অন রোল-অফ’। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় রো রো। এই পদ্ধতিতে সারা বিশ্বেই জলপথে বড় বড় ভেসেলে করে পার হয় মাল বোঝাই ট্রাক বা যাত্রীবাহী গাড়ি। এ বার গঙ্গায়ও সেই দৃশ্য দেখা যাবে। মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘মাসখানেক আগে শালিমার একটি রো-রো ভেসেল তৈরি করেছে। সেটি গঙ্গাসাগরের জন্য দিয়েছি। আরও একটি রো-রো ভেসেল এ বার আনা হলো। এতে গাড়ি তুলে নদী পারাপার করানো যাবে। সঙ্গে যাত্রীও পার হতে পারবেন। ৬টি ট্রাকের সঙ্গে ৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবেন।’
আপাতত গঙ্গাসাগরের জন্য এই ভেসেল কাজে লাগানো হচ্ছে। স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, গঙ্গার দু’পারে গাড়ি পারাপারের জন্য এগুলি কাজে লাগানো হবে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর গাড়ির চাপের কারণে যানজট বাড়ছে। তাই পরিবহণ দপ্তর রো-রো সার্ভিসের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ট্রাক বা বড় গাড়ি যাতে এই ভেসেলে চেপে পারাপার করতে পারে।
প্রথমে রায়চক থেকে কুমড়োহাটি পর্যন্ত যানবাহন পারাপার করানো হবে রো-রো ভেসেলে। গার্ডেনরিচ থেকে শালিমার-সহ দু’টি জায়গা দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই রো-রো ভেসেল চালানো হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই দু’টি জায়গায় জেটিঘাট তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।