হালআমলে হংকং ও সিঙ্গাপুর সহ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে।


খবর বাংলা সংবাদ ওয়েব ডেস্ক : 
ফিরছে কি ফের আতঙ্কের দিন ? যে আতঙ্ক গ্রাস করেছিল গোটা বিশ্বকে। ২০২০ থেকে ২০২২, চোখের সামনে ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা পড়েছে সঙ্কটে। একটা ভাইরাসের সামনে অসহায়ের মতো হাঁটু মুড়ে বসেছিল বিশ্বের তাবড় দেশগুলি। ঘরে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য-প্রতিরক্ষাকে পোক্ত করতে লেগে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। আবার কি সেই দিন ফেরার পথে? চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিসংখ্যান। হালআমলে হংকং ও সিঙ্গাপুর সহ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার তীব্র বৃদ্ধি ঘটছে । উদ্বিগ্ন দুই জায়গারই প্রশাসন। সিঙ্গাপুর-হংকং এর সঙ্গে ভারতের আদানপ্রদান বেশি থাকায় সেই নিয়ে সামান্য উদ্বেগ এ দেশেও। সেই নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত রাজ্যের চিকিৎসক মহল। যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি রাজ্য কিংবা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর।

ইতিমধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ হংকং এবং সিঙ্গাপুর জুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা। সেই নিয়ে রীতিমতো সতর্কতা জারি করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর। হংকং-এ কোভিড ভাইরাসের সক্রিয়তা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশনের কমিউনিকেবল ডিজিজের আধিকারিক অ্যালবার্ট আউ। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলথ প্রোটেকশনের সংক্রামক রোগ শাখার প্রধান অ্যালবার্ট আউ সতর্ক করে বলেছেন যে শহরে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে। হংকং-এ সম্প্রতি করোনা পজিটিভ নমুনার সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ যোগ্য হারে। এক বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। 

প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ মে পর্যন্ত সপ্তাহে মারাত্মক হারে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। ভাইরাসের হানা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। কোভিডের বিভিন্ন প্রজাতিতে গত দুই বছরেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তাতে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি চিকিৎসকরা। তবে এ বারের ছবিটা একদম আলাদা, বেশ চিন্তারই। সে-দেশের জয়প্রিয় গায়ক ইয়াসন চ্যান করোনা পজিটিভ। তিনি কনসার্ট বাতিলও করেছেন।

এখানেও একের পর এক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দফতর প্রায় এক বছর পর এই মাসে ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা সম্পর্কে আপডেট প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮% বৃদ্ধি পেয়ে ১৪,২০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে । সরকার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের টিকা গ্রহণের বিষয়ে সচেতন করেছে। এর জন্য অবশ্য এখনই ভাইরাসের নতুন কোনও রূপকে দায়ী করছে না সরকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে ভাইরাসটি আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে, তাইল্যান্ডে এই বছর দুটি ক্লাস্টারে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে। এপ্রিল মাসের বার্ষিক এক উৎসবের পরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এশিয়ার অন্যান্য স্থানেও একই ধরনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। চিনের সিডিসি জানিয়েছে , গত পাঁচ সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার পজিটিভিটি দ্বিগুণ হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post