বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই রাজ্যের পর্যটন শিল্পে উন্নয়নের জোয়ার। দিঘায় জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনের পর থেকেই যে হারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় বাড়ছে, তাতে বেজায় খুশি ছোট দোকানদার থেকে হোটেল ব্যবসায়ীরা। এবার অতিথি আপ্যায়নের কথা মাথায় রেখে বিদেশি পর্যটকদের সৈকত নগরীতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে বিশেষ উদ্যোগ পর্যটন দফতরের। দিঘার হোটেলকর্মীদের ব্যবহার এবং অতিথি আপ্যায়ণের প্রশিক্ষণ দিতে আয়োজিত হল বিশেষ শিবির।
সমুদ্র সুন্দরী দিঘা এখন শুধুমাত্র পর্যটনক্ষেত্র নয় পাশাপাশি তীর্থক্ষেত্রও বটে।পরিসংখ্যান বলছে, জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের আগে বছরে ৫০ লক্ষ পর্যটক দিঘায় ছুটি কাটাতে যেতেন। কিন্তু মন্দির উদ্বোধনের পরে গত দু’মাসেই ৩০ লক্ষের বেশি পর্যটক সমাগম হয়েছে। রাশিয়া, ইউক্রেন, চিন, নেপাল–সহ নানা দেশের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে দিঘার জগন্নাথ ধাম। যত সময় যাবে পর্যটক এবং অতিথিদের সংখ্যাটা আরও বাড়বে। সেখানে দাঁড়িয়ে যাতে হোটেল কর্মীদের আতিথেয়তায় কারো কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে নজর দিতে রাজ্য শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ ও রাজ্য পর্যটন দফতর গত ১৪ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত চার দিন ধরে চলে প্রশিক্ষণ শিবির। কীভাবে অতিথিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, নিজেদের পরিবেশন করতে হবে বা ভাষাগত সমস্যা এড়িয়ে বিদেশি পর্যটকদের সুবিধা–অসুবিধার দিকে নজর দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। হোটেল কর্মীদের পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন লেবার কমিশনের স্পেশাল সেক্রেটারি সুমিতা মুখোপাধ্যায়, ডেপুটি ওয়েলফেয়ার কমিশনার দেবু কর, লেবার হলিডে হোমের ইনচার্জ সুজয় মণ্ডল। জানা গেছে এবার থেকে বছরে তিনবার দফায় দফায় এই শিবির করা হবে। এর জন্য বিভিন্ন হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউশন থেকে প্রশিক্ষকদের নিয়ে আসা হচ্ছে।