মামলাকারীদের আইনজীবী সুবীর স্যানাল আদালতে জানান, মামলাকারীরা প্রাথমিক শিক্ষক। শিক্ষকতা ছাড়াও স্কুলে আনুষঙ্গিক নানা কাজ থাকে। বিএলও হিসেবে তাঁদের অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে অন্তত তিন দফায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে এবং প্রচার চালাতে হবে। ইলেক্টোরাল রোল রিভিশনের কথা বলা হয়েছে। স্কুলের দৈনন্দিন কাজের বাইরে কী করে অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব? এটা শুধু ছুটির দিনের কাজও নয়। বিএলও হিসেবে কাজের সময়ে স্কুলে কাজ করতে হবে না, এমনও বলা হয়নি। কতদিন কাজ করতে হবে, তাও অস্পষ্ট।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার পাল্টা জানান, বিএলও–রা বাড়ি গিয়ে তথ্য নিয়ে আসেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে (ছাত্র–শিক্ষক অনুপাত দেখে) সায় নিয়েই শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বিএলও হিসেবে ডাকা হয়েছে। সবাইকে ডাকা হবে, এমন নয়। যে সব স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক, এমন শিক্ষকদের বিএলও–র কাজ দেওয়া হচ্ছে না।
মামলাকারীদের আইনজীবী তখন বলেন, ‘স্কুলের সময়ের বাইরে ছুটির দিনেও কাজ করার কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা আছে বলেই কি চাপিয়ে দিতে পারে কমিশন?’ তখন বিচারপতি বলেন, ‘বিএলও-দের কী করতে হবে, তা এখনও নির্দিষ্ট করেনি কমিশন। কতক্ষণ কাজ, সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি। তা হলে মামলাকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা কেন ধরে নিচ্ছেন, তাঁদের পূর্ণ সময় কাজ করানো হবে? কিন্তু দেশের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কাজ করতেই হবে।’
বিচারপতির সংযোজন, কর্মক্ষেত্রের কাজ শেষ করে অতিরিক্ত সময়ে ভোটের কাজ করতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ভোটের কাজ করা প্রাথমিক শিক্ষক-সহ যে কোনও সরকারি কর্মচারীর চাকরির শর্তের মধ্যেই পড়ে। তাই বিএলও হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগেও বাধা নেই।