‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি, উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?’ এ বার বীরভূমের পুলিশ সুপারকে তোপ অনুব্রতর



কয়েকদিন আগেই বোলপুরের আইসি-কে ফোনে কুকথা বলার জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময়ে দলও তাঁর মন্তব্যের নিন্দা করেছিল। ক্ষমাও চান কেষ্ট। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার এই তৃণমূল নেতার নিশানায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বীরভূমে ‘অপসংস্কৃতি’ থাবা বসিয়েছে, দাবি কেষ্টর। 

বিতর্কের সূত্রপাত কী থেকে?
 শনিবার সিউড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। গেরুয়া শিবিরের সেই মিছিল থেকেই প্রশাসন ভবন মোড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ ওঠে। সরব হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কাউন্সিলাররা। পরিস্থিতি তপ্ত হয় এবং হাতাহাতিতেও গড়ায় এক পর্যায়ে। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, এই অশান্তির ঘটনায়  বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা-সহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও পুলিশকে কাঠগোড়ায় তোলেন কেষ্ট। 
কী বলেছেন অনুব্রত?
শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘বীরভূম জেলায় কোনওদিন এই ধরনের সংস্কৃতি ছিল না। কেন হলো? এই পুলিশ সুপার আসার পরে তা হয়েছে। আগে কোনও পুলিশ সুপার থাকাকালীন এই ধরনের নোংরামি, খুনখারাপি হতো না।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘নাবালিকা উধাও হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও এই পুলিশ সুপারের আমলে হচ্ছে। দু’জন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন, তিন জন নাবালিকা নিখোঁজ।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে কালি লাগানোর ঘটনাতেও পুলিশ সুপারকে নিশানা করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, 'যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারে কালি লাগানো হয়েছিল, সেখান থেকে পুলিশ সুপারের অফিস ২০ হাত দূরে। তিনি কি ঘুমোচ্ছিলেন? এই এসপি আসার পর থেকে এ ধরনের নোংরামি হচ্ছে।’

তাঁর সংযোজন, ‘আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। কিন্তু এ ধরনের আচরণ কোনওদিন করিনি। আমরা বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের ছবিতে কালি লাগাইনি কোনওদিন। এটা তো ভদ্রতা নয়। এই পুলিশ সুপার থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।’ অনুব্রত মণ্ডলের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।

Post a Comment

Previous Post Next Post