বারাকপুর:বঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআর অর্থাৎ বিশেষ নিবিড় সংশোধন ইস্যুতে ক্রমশ বাড়ছে তরজা। খুব শীঘ্রই বাংলায় এই সংক্রান্ত কাজ শুরু হতে পারে বলে খবর। এর মধ্যেই সামনে এল, নৈহাটির বিধানসভার ভোটার লিস্টে পাকিস্তানের নাগরিকের নাম! সালেহা ইমরান। আর সেই তথ্য ফাঁস করে চাঞ্চল্যকর দাবি বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের। তাঁর দাবি, ”নৈহাটি বিধানসভায় ১১৫ নং পার্টে ভোটার লিস্টে রয়েছে পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা সালেহা খাতুনের ইমরানের নাম।” নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন না জানিয়েই বাংলার ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছে বলেও দাবি বিজেপি নেতার। ঘটনাটির কথা মেনে নিয়েছেন শাসকদলের নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। আর তা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, নৈহাটি বিধানসভায় ৮ নং ওয়ার্ডের গৌরীপুর এটি ঘোষ লেনের বাসিন্দা সালেহা ইমরান আদতে পাকিস্তানের নাগরিক। ওই ব্যক্তি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসে বাংলায় রয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতার। অভিযোগ, এজন্য ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য কোনও আবেদন জানানো হয়নি। আর তা না করেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছে বলেও বিস্ফোরক দাবি অর্জুন সিংয়ের। এই ইস্যুকে সামনে রেখে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। অর্জুনের অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই ভোটার তালিকায় পাক নাগরিকের নাম তোলা হয়েছে।
এহেন অভিযোগ মেনে নিলেও এই ইস্যুতে পালটা নির্বাচন কমিশন এবং অর্জুন সিংকে একহাত নেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। তিনি বলেন, ”মহিলার নাম সালেহা। ২৮ বছর আগে উনি পাকিস্তানের থাকতেন। বিবাহসূত্রে উনি এখানে এসেছেন। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর নাম মহম্মদ ইমরান আলি। দুবাইতে কাজ করত।” বিধায়কের কথায়, দুবাইতে থাকাকালীনই মহম্মদ ইমরান আলির সঙ্গে পাকিস্তানের বাসিন্দা সালেহার বিয়ে হয়। সেই সূত্রে ২৮ বছর ধরে এখানে রয়েছেন। তাঁদের সন্তানও রয়েছে।” তবে ভোটার কার্ড সঠিক কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এই ইস্যুতে অর্জুন সিংকেও একহাত নেন সনৎ দে।