আজ থেকেই চন্দননগরে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু, দুপুরের পর থেকে শহরে নো-এন্ট্রি


কালীপুজো মিটতেই এ বার জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। আর জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর। আলোয় সেজে উঠেছে ফরাসডাঙা। সিসিক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে চারদিক। কন্ট্রোল রুম থেকে চলবে নজরদারি। শনিবারই জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইডম্যাপের উদ্বোধন হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আজ, রবিবার, পঞ্চমীর দুপুর থেকেই শহরে গাড়ির জন্য নো-এন্ট্রি শুরু হয়ে যাবে। দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে তা।

পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় চন্দননগরে। শুধু জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফেরিঘাট, রেল স্টেশন এবং সড়ক পথে বহু দর্শনার্থী আসেন। এ বারও তার অন্যথা হবে না। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা থাকছে।

তৃতীয়া থেকেই পুলিশে ছয়লাপ চন্দননগর। শুধুমাত্র চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট নয়, বাইরের জেলা থেকেও পুলিশ আনা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বার পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে সিসিটিভির সংখ্যা। শহরজুড়ে ৩০০টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেই সব ক্যামেরার নজরদারিতে আলাদা কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেখানে নজরদারি চালাবেন কমিশনারেটের আধিকারিকরা।

মোতায়েন করা থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী। প্রচুর মহিলা পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল টিমের মহিলা পুলিশ কর্মীরা টহল দেবেন। ষষ্ঠী থেকে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুপুর ২টো থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত শহরে বন্ধ থাকবে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। শহরে ঢোকার মোট ৪৪টি জায়গায় নো এন্ট্রি থাকবে।


Post a Comment

Previous Post Next Post