কালীপুজোর নিরঞ্জন উপলক্ষে দূষণ রোধে কোমর বাঁধছে শহর


তমলুক: সোমবার থেকে শ্যামার আরাধনায় মেতেছিল তমলুক শহর। এ বারে নিরঞ্জনের পালা। সেই উপলক্ষে কোমর বেঁধে প্রস্তুত প্রশাসন। দূষণ রোধ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শহরজুড়ে চলছে কড়া নজরদারি। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগও। প্রতি বছরের মতো এ বছরও রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে, পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ষোলো ফুকার সংলগ্ন ঘাটেই হবে এ বছরের সব প্রতিমা নিরঞ্জন। পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ঘাট এবং আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করে প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, পরিবেশ দূষণ রোধে শহরের বিভিন্ন পুকুর ও খালে প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তাকে জানানো হয়েছে, পুরসভার নির্ধারিত ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য পুরসভার ২০ জন কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। তাঁদের জন্য থাকছে আলাদা পোশাক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। পাশাপাশি এলাকায় আলো ও ঘাট সংলগ্ন সড়কগুলিতে অতিরিক্ত লাইট বসানো হয়েছে। নিরঞ্জনের সময়ে কোনও রকমের দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য উপস্থিত থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও।

নিরঞ্জন–কর্মী মানিক মণ্ডল, শঙ্কর জানা ও অলোক সামন্ত জানাচ্ছেন, একে একে প্রতিমাগুলিকে জলে নামানোর পরে দড়ি দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখা হবে। পরের দিন সকালে কাঠামো তুলে এনে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘাটে মোতায়েন থাকবেন ৬ জন অফিসার, ১২ জন কনস্টেবল, ৬ জন মহিলা কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে মোট প্রায় ৩০ জন পুলিশকর্মী। এ ছাড়া ঘাটের দিকে যাওয়া মূল সড়কগুলিতেও

অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে, যাতে নিরঞ্জনের দিন যানজট বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে। তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও পরিবেশবান্ধব ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ সম্পন্ন হোক। আমাদের কাউন্সিলাররাও ঘাটে উপস্থিত থাকবেন। সবদিক নজর রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’ তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানান, পুজোর আগে বৈঠকে পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।



Post a Comment

Previous Post Next Post