'কেউ কেউ ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি নিয়ে রাজনীতি করছেন'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ রাজনীতি করছে ধুপগুড়ি-ময়নাগুড়ি নিয়ে। আমি প্রথমেই বলি, ব্রিজ দেখতে গিয়েছিলাম, ওইদিকটা, ওই সাইডটা।সেদিনই কিন্তু আমি অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, নির্মল রায় যিনি ওখানকার এমএলএ, ডিএম, এসপিরা সবাই মিলে, তাঁরা কিন্তু প্রত্যেকেই ধুপগুড়িতে তিনটি ক্যাম্প ভিজিট করেছেন। তিনবার করে রিলিফ দেওয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি গুলি যাদের ভেঙে যায়, ধুপগুড়ি-ময়নাগুড়িগুলো করে দেওয়া হবে।..আপনারা জানেন আগেরবারও ময়নাগুড়ি জলপাইগুড়িতে যখন সাইক্লোন হয়, আমি নিজে এসেছিলাম। ..কেউ কেউ হতাশ করছেন মানুষকে। তাঁদের বলব, হতাশ না করে তারা চেষ্টা করুন, মানুষকে, একটু নিজেদের থেকে হেল্প করবার। আপনাদেরও তো একটা দায়িত্ব রয়ে গিয়েছে, যারা এসব করছেন। বিজনেস করবেন, বিজনেস করুন ভাল করে, কিন্তু বিজনেসের একটা দায়ও রয়ে যায়।মানুষ বিপদে পড়লে তাঁর পাশে দাঁড়ানো। কোনও কিছু করবেন না, আর বিজেপির টাকায় বড়বড় ভাষণ দেবেন, একদিন ঘুরে ফোটোশ্যুট করে সব পালিয়ে গিয়েছে, তারপরে আর কারও পাত্তা আছে ?! বাড়ি বানাবো আমরা, ব্রিজ বানাবো আমরা, রিলিফ দেব আমরা, কিচেন চালাবো আমরা, সেন্ট্রালের কোনও ভূমিকা নেই ? প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাথিং ইজ দেয়ার শুধু রাজনীতি।
মিরিকে বাড়ি ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু,মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে আজ মিরিকে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিন তিনি দুয়ার্সে পৌঁছন। সেখানে হাসিমারাতে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। গতকাল তিনি নাগরাকাটায় গিয়েছিলেন। সেখানেও একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এবং আজকে তিনি মিরিকে পৌঁছেছেন। মিরিকে বাড়ি ধসে একইপরিবারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িতে গিয়েই গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন, মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের তদারকি করেন তিনি। এরপরেই সুখিয়াপোখরিতে দুর্যোগ-পীড়িতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। কাল দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক।