বাংলা জুড়ে আজ শ্যামা মায়ের আরাধনা (Shyama Kali Puja)। দীপান্বিতা কালীপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে আট থেকে আশি সকলেই। বাংলা জুড়ে বিভিন্ন কালীমন্দিরে সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড়। থাকছে ভিআইপিদের (VIP ) আনাগোনা। তাই নৈহাটির বিখ্যাত বড়মা মন্দিরে (naihati boroma temple)এই পুজোর দিনগুলোতে এক হাজার করে পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রবিবাসরীয় রাত থেকেই লম্বা লাইন মন্দির চত্বর ছাড়িয়ে রাস্তার অনেকটা অংশ দখল করে ফেলেছে। এদিন অনেকের দন্ডী কাটবেন, তাই তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভিআইপি বা বিশেষ ব্যক্তিত্বরা এলে যাতে সাধারণ মানুষের পুজো দিতে সমস্যা না হয় তাও নজরে রাখা হচ্ছে। ভক্তদের সুবিধার্থে পুজো গ্রহণের চারটি কাউন্টার রাখা হয়েছে। পুজো কমিটির তরফে বলা হয়েছে অঞ্জলি শেষ হতেই নৈহাটি বয়েজ স্কুল ও নৈহাটি মহেন্দ্র স্কুলে সন্দেশ প্রসাদ বিতরণ হবে। কুপন দিয়ে এই প্রসাদ গ্রহণ করা যাবে।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দেবী কালীবন্দনায় সবথেকে আগে উঠে আসে শ্যামা আরাধনার পীঠস্থান উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নাম (Kali Puja Celebration in Barasat)। শুক্রবার থেকেই মানুষের ভিড় সামলানো দায়, তবে রবিবার তা পৌঁছে গেল চরম পর্যায়ে। ঠাকুর দেখার আগ্রহ- হুড়োহুড়ি এসব তো ছিলই, তার সঙ্গে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নাকা চেকিং থেকে শুরু করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তাতে নাভিশ্বাস উঠছে দর্শনার্থীদের। বিরক্ত অনেকেই। পুজো উদ্বোধনে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের। নবপল্লীর আমরা সবাই, নবপল্লী সার্বজনীন, তরুছায়া, জাগৃতির মতো বড় বড় পুজোকমিটি গুলো তাদের এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য সচিত্র পরিচয় পত্র দেখিয়ে ছাড় পাওয়ার কথা বললেও তার যে বাস্তব রূপায়ন হয়নি তা স্থানীয়দের অভিযোগে স্পষ্ট। যানজটের কারণে ১১নম্বর রেলগেট ফেলতে না পারায় শনি ও রবিবার একাধিক ট্রেন দেরিতে (Train Late) চলেছে।সোমবার শ্যামাবন্দনায় বারাসতের জনপ্লাবন যে জনসুনামিতে পরিণত হবে তা কারো অজানা নয়। সেক্ষেত্রে আজ পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে কোন পদক্ষেপ করা হয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে।