কালীপুজো উপলক্ষে ইংরেজবাজারের জোতগোপাল গ্রামে বসেছিল মেলা। আর সেই মেলাতেই চলছিল চটুল নাচ এবং জুয়ার আসর। মঙ্গলবার রাত তিনটা নাগাদ খবর পেয়ে অভিযান চালায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। আটক করে ওই গ্রামের ১৫ জন গ্রামবাসীকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ ভাঙচুর করে সেই জুয়ার ঠেক।
গ্রামবাসীরা বাধা দিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বুধবার সকালে ইংরেজবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান জোতগোপাল গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার নরহাটটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জোতগোপাল এলাকায়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয় গ্রামের লোকেদের। তাদের মুক্তির দাবিতে থানা বুধবার সকাল থেকেই ইংরেজবাজার থানার সামনে শতাধিক মহিলা সহ গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ বছরের পুরনো জোতগোপাল কালী পুজোর মেলাটি। প্রতিবছরের মতোন এবছরও ওই এলাকার একটি খেলার মাঠে এই মেলার আসর বসেছিল। কালী পুজোর দিন থেকে শুরু হয়ে মেলা চলে তিনদিন । তবে এই মেলায় মূলত চটুল নাচ ও জুয়ার আসরকে ঘিরেই অসন্তোষ ছড়ায় একাংশ গ্রামবাসীদের মধ্যেই।
তাদের পক্ষ থেকেই পুলিশকে অভিযোগ করে বেআইনি জুয়ার ঠেক এবং চটুল নাচের আসর বন্ধের দাবি তোলা হয়। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ ওই মেলা প্রাঙ্গনে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করে। উদ্ধার হয় প্রায় দশ হাজার টাকার বোর্ডমানি। শুধু তাই নয় এলাকায় এই মেলাতেই চটুল নাচের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগেও সেটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। আর তারপরেই গন্ডগোল বেঁধে যায় একাংশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে।
যদিও এদিন বিক্ষোভকারী মহিলা মেনোকা মন্ডল, কাবরী মন্ডল, ববিতা হালদারদের বক্তব্য, আমাদের স্বামীরা রাতে মেলায় দোকান করেছিল। কারো তেলের ভাজার দোকান ছিল , কারোর আবার খেলনার দোকান ছিল। অন্যায় ভাবে পুলিশ সেই সব দোকান ঘর ভেঙে তাদেরকে ধরে নিয়ে এসেছে। দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো কোনভাবেই জুয়া খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বরঞ্চ ১০০ বছরের এই পুরনো মেলাতেই পুলিশ গিয়ে অযথায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে।