ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আওয়ামি লিগকে বাদ দিয়েই হবে বলে এক রকম ঘোষণা করে দিয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন। তার আগে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার মোট ১১টি জায়গায় পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ঝটিকা মিছিল করল শেখ হাসিনার দল।
পুলিশ সূত্রের দাবি, মিছিলগুলিতে ৫ থেকে ৩০ জন পর্যন্ত লোক হয়েছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের দাবি খারিজ করে বলছেন, ঝটিকা মিছিলগুলি অল্প লোক নিয়ে শুরু হলেও অচিরেই তা আড়ে-বহরে নজরে পড়ার মতো হয়ে উঠছে। পথচলতি সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তাতে যোগ দিচ্ছেন। তবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩১ জন আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।
চার-পাঁচ মাস ধরেই ঢাকা বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামি লিগের ঝটিকা মিছিল দেখা যাচ্ছে। মাস দুয়েক ধরে তার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে। সম্প্রতি ইউনূস সরকার ঢাকার সমস্ত থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের নোটিস দিয়ে জানিয়েছে, তাঁদের এলাকায় প্রাক্তন শাসক দলের কোনও মিছিল হলে অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর পরে পুলিশ একের পর এক অভিযান চালিয়ে তৃণমূল স্তরের হাজার খানেক কর্মীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তার পরেও মিছিল বন্ধ হয়নি। দু-একটি জায়গায় মিছিলকারীদের গ্রেফতারের পরে বাকিরা ককটেল বোমা ছুড়ে পুলিশের হাত থেকে তাঁদের ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবারেও বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ সক্রিয় হয়ে ধরপাকড় শুরু করতেই ককটেল ফাটানো হয়েছে।