আলিপুরে আলমারিতে উদ্ধার হওয়া নাবালিকার দেহ আর জি করের দোষী সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নির, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, মৃতা সঞ্জয়ের এক দিদির মেয়ে। মায়ের মৃত্যুর পর মাসিকে বিয়ে করেছিলেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নাকি সৎ মা অত্যাচার করত মেয়ের উপর।
রবিবার প্রকাশ্যে আসে আলিপুরে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর খবর। জানা যায়, বাড়ির বিরাট আলমারিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর দেহ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, সঞ্জয় রায়ের দিদির সঙ্গ বিয়ে হয়েছিল নাবালিকার বাবার। কয়েকবছর আগে মৃত্যু হয় বধূর। এরপর শ্যালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ওই ব্যক্তির। শ্যালিকাকে বিয়েও করেন তিনি। এরপর মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। মৃতার ঠাকুমার অভিযোগ, ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী নাকি নাতনির সঙ্গে দেখা করতে দিত না তাঁদের।
এখানেই শেষ নয়। নাবালিকাকে কারণে-অকারণে বকাবকি অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। চাইলেও ঠাকুমার কাছে যেতে পারত না নাবালিকা। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। যদিও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কীভাবে আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ করল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। খুনের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেননি। এসব তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই খুন নাকি আত্মহত্যা তা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।