যমুনায় কৃত্রিম ঘাট তৈরি করে ছটপুজোর আয়োজন। ঘটা করে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সেখানে ছটপুজার অভিনন্দন জানাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ঘোষণা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মঙ্গলবার সেখানে যাবেন ছটপুজো (Chhatpuja) উপলক্ষ্যে ডুব দিতে। কিন্তু তার মধ্যেই একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ও আম আদমি পার্টির (AAP) নেতারা খুলে দিয়েছেন নকল বাসুদেব ঘাটের (VAsedev Ghat) মুখোশ। ফলে রাতারাতি মঙ্গলবারের নরেন্দ্র মোদির বাসুদেব ঘাটে যাওয়ার পরিকল্পনা।
যমুনার (Yamuna river) তীরে বাসুদেব ঘাটে আলাদাভাবে পরিশ্রুত জল ঢেলে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম ঘাট। দুদিন ধরে যমুনা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার প্রচার চালানো হয়। স্থানীয় কর্মী, যাঁরা এই কাজ চালিয়েছিলেন, তাঁরা জানান পাইপে করে নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় পরিশ্রুত জল এনে ঢালার কথা। বাস্তবে যমুনার জলের দূষণ (Yamuna pollution) ও কৃত্রিম পুকুরের (artificial pond) জল তুলে তুলনা করে মিথ্যাচার ফাঁস করে দেওয়া হয়।
সেই কৃত্রিম ঘাটেই মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গিয়ে ডুব দেওয়ার ঘোষণা হয়েছিল। ২০২৪ সালে যমুনার তিরে বাসুদেব ঘাট সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় সবথেকে সুন্দর ঘাট হিসাবে। ছটপুজোর প্রাক্কালে নতুন পুকুর তৈরি নিয়ে সাফাই দেওয়া হয় – প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে।
তবে সকাল ৮ টায় মঙ্গলবার দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এরপরই কটাক্ষ আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের (Saurabh Bharadwaj)। তাঁর দাবি, বাসুদেব ঘাটে (Vasudev Ghat) ‘নকল যমুনা’য় ছটপুজো ও সূর্য অর্ঘ্য বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিহার নির্বাচনের (Bihar Election) আগে বিহারের ভাবাবেগকে প্রভাবিত করার যে চেষ্টা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) চালিয়েছিলেন তা ব্যর্থ হল। তিনি ছবি ভিডিও প্রকাশ করার সুযোগ পেলেন না। সম্ভবত শেষ মুহূর্তে তিনি পরিকল্পনা বাতিল করেছেন, যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর অন্য জায়গা খুঁজে বের করতে পারেনি।