একশো দিনের বকেয়া টাকা না মেটালে ফের দিল্লি গিয়ে আন্দোলন, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের


কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের ১০০ দিনের বকেয়া অর্থ মেটাতে হবে। কলকাতা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে হবে কেন্দ্রকে। না হলে ফের দিল্লি গিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি, আন্দোলন করা হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রের। বকেয়া টাকা দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকেই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। ফলে বঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগেই বাংলায় ফের ১০০ দিনের কাজ চালু হতে চলেছে। যা বড় জয় রাজ্য সরকারের কাছে। আর এরপরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সোশাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখছেন, “বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদারদের আরও একটি শোচনীয় হার।” শুধু তাই নয়, এই রায় বাংলার মানুষের ঐতিহাসিক জয় বলেও উল্লেখ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এদিন রাতে ফের এই ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ লেখেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও আমাদের পাওনা যদি পরিশোধ না করা হয়, তাহলে বাংলা ফের জেগে উঠবে। দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন শুরু করবে।” প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলার বকেয়া মেটানোর দাবিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি করেছিল তৃণমূল। সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং অভিষেক। দিল্লির রাজঘাটে ধর্না কর্মসূচি ছিল। পরের দিন প্রতিনিধি দল নিয়ে দিল্লির কৃষি ভবনে গিয়েছিলেন অভিষেক।

প্রায় তিনবছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্ম প্রকল্পের অধীনে দিনমজুরির কাজের অর্থ পাচ্ছে না বাংলা। এই বিষয়ে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো আবার কখনও খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। যেখানে বকেয়া মেটানোর আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু বারবার কেন্দ্রের বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণের শিকার হতে হয়েছে বাংলাকে। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে বহাল রেখে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ১০০ দিনের বকেয়া মেটাতে হবে কেন্দ্রকে। এরপরেই অভিষেক এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যা অবশ্যই বাংলার মানুষের ঐতিহাসিক জয়। দিল্লির ঔদ্ধত্য আর অবিচারের কাছে মাথানত করবে না বাংলা।”

Post a Comment

Previous Post Next Post