এদিন ওই সাক্ষী সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আদালতে জানান, ”কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়াটাই তাঁর কাজ ছিল। পাঁচ থেকে ৬ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে। হার্ড কপির ভিত্তিতে তৈরি করা হতো সফট কপি।” ওই ব্যক্তির কথায়, ”বোর্ডের সভাপতি অথবা নিয়োগ সেলের কাছ থেকে নিয়োগের নির্দেশ আসত। নিয়োগপত্র চেয়ারম্যান ইস্যু করতেন। প্রথমে বোর্ডের সভাপতি ছিলেন ড. পারমিতা রায়। পরে হন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগপত্রে তাঁদের স্ক্যান করা সই দেওয়া হত। এর পর সেই ফাইল অনুমোদন করতেন কল্যাণময়। একটি নোটশিটে সব নাম থাকত। বোর্ডের ওয়েবসাইটে নোটিফিকেশন করা হত। চাকরিপ্রার্থীরা তা দেখে চাকরির ব্যাপারটি জানতে পারতেন।”
এই প্রসঙ্গে ওই সাক্ষী এদিন আদালতে আরও জানান, ”লকডাউন চলাকালীন একদিন তাঁকে কল্যাণময়ের ঘরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিংহ।” তাঁর দাবি, সেদিন তাঁকে বলা হয়, আরটিআইয়ের ব্যাপার আছে। তাই কিছু নিয়োগপত্র আগে দিতে হবে। আরটিআইয়ে কিছু নম্বর বেরিয়েছে। এটি হাই প্রোফাইল বিষয়। তাই নিয়োগপত্র না দিলে সমস্যা হবে। কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনাও হয়। নতুন বিল্ডিং থেকে যাতে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। কল্যাণময় সাক্ষীকে বলেন, সমরজিৎ আচার্যর কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে। কিন্তু লকডাউনে কর্মীর অভাব। তাই তিনি নতুন বিল্ডিংয়ে দিয়ে আসেন সেই নিয়োগপত্রগুলি। সেগুলি চারজন কর্মী, যাঁদের মধ্যে দু’জনের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন, সেই নিয়োগপত্রগুলি বিলি করেন। তবে সাক্ষী জানান, তিনি নিয়োগপত্রগুলি যাচাই করেননি। কারণ, সেই কাজ তাঁদের নয়। এই কাজ নিয়োগ কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার ও বুধবার আরও দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।