সোনারপুর: চার বছরের শিশুকন্যা প্রত্যুষা কর্মকারের খুনের ঘটনায় ফরেন্সিক টিম নমুনা সংগ্রহ করল ঘটনাস্থল থেকে। সুভাষগ্রাম কোদালিয়ার যে বাড়িতে চার বছরের শিশুটিকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিল তার ৮১ বছরের দাদু, বুধবার সেখানেই যায় ফরেন্সিক টিম। তারা বিভিন্ন ঘরের ছবি তোলে এবং নমুনা সংগ্রহ করে। ঘটনার পর থেকে এখনও বাড়িটি সিল করে রেখেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দাদু প্রণব ভট্টাচার্য এখনও চিকিৎসাধীন বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে থাকতে নারাজ ওই বৃদ্ধ। উল্টে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীদের সে বারে বারে বলছে, তাকে জেলেই পাঠানো হোক। তবে এমন জেদাজেদির কারণ কী, তার উত্তর অবশ্য অভিযুক্তের থেকে পাওয়া যায়নি। ঘুমন্ত অবস্থায় নাতনি প্রত্যুষাকে খুনের পর এখনও কোনও শোক বা অনুতাপের ছাপ নেই দাদুর চোখে মুখে।
খুনের ঘটনার চারদিন পরেও সোনারপুরের কোদালিয়ার কদমতলায় শোকের আবহ। সবাই এখন অভিযুক্ত দাদুর শাস্তির অপেক্ষায়। তবে হাসপাতাল থেকে কবে ছুটি পাবে প্রণব তা এখনও ঠিক হয়নি। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, নিজেদের হেফাজতে নিয়ে প্রণবকে আরও জেরা করা বাকি রয়েছে। নাতনির সঙ্গে তার সম্পর্ক, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কেমন ব্যবহার ছিল তা জানতে চাওয়া হবে ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে। পরিবারের বাকিদের থেকে এই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে অবশ্য পুলিশ বেশ কয়েকবার অভিযুক্তকে জেরা করেছে এবং সেই জেরার ভিডিয়োগ্রাফি করেছে।