'এক টাকাও দেবেন না', বিরাট বার্তা দিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে হুঙ্কার শুভেন্দুর


রাজ্যজুড়ে বেআইনি টোটোর দাপট রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার টোটো রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও অনলাইনমুখী করেছে। পরিবহণ দপ্তরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি টোটো মালিককে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের যানবাহন রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে নির্দিষ্ট আরটিও (RTO) অফিস বা অনলাইন পোর্টাল parivahan.gov.in–এর মাধ্যমে।

পরিবহণ দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য এবং এক বছরের রিনিউয়াল ফি মোট ১,৭৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছে, যেটি অনলাইনেই প্রদান করতে হবে। এছাড়াও, রেজিস্ট্রেশন ও ১৮ মাসের রিনিউয়াল ফি মিলিয়ে মোট ২,৯৪০ টাকা অনলাইন পেমেন্টের সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি টোটো মালিককে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে বলেও রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। 

এদিকে, এই রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সল্টলেকের বিজেপি কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এই রাজ্যে বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে। সরকারি চাকরি না পেয়ে বহু শিক্ষিত যুবক ও যুবতী টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। রাজ্য সরকার এখন তাদের কাছ থেকেও টাকা তুলতে চাইছে।”

শুভেন্দু দাবি করেন, রাজ্য সরকার টোটো রেজিস্ট্রেশনের নামে ১,০০০ টাকা ফি ধার্য করেছে এবং প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে বছরে ১,২০০ টাকা দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, “চিটফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন রাজ্য সরকার মদ ও এই ধরনের ফি-র মাধ্যমে রাজস্ব তুলছে। সামনে নির্বাচন, তাই নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব গ্রামাঞ্চলের যুবকরা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে টোটো চালিয়ে সংসার চালান, তাদের জন্য এই বাড়তি ফি মুকুব করা হোক।” শুভেন্দুর দাবি, আগামী চার মাসের মধ্যেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হবে, তাই ৫ লক্ষ টোটোকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post