একদিনের নোটিশে দিল্লি তলব! নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে রাজ্যের CEO-রা


বাংলায় দিল্লির নির্বাচনী আধিকারিকরা সফর শেষ করার পরই দেশজুড়ে এসআইআর চালু করার পদ্ধতি শুরু হতে পারে, এমনটা আশঙ্কা ছিল। কার্যত এবার সেই সম্ভাবনা সত্যি হতে চলেছে, যার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) জরুরি চিঠিতে। সব রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) দুদিনের বৈঠকে ডাকা হল বুধ ও বৃহস্পতিবার। সম্ভাবনা তৈরি হল বৈঠকের পর দেশ জুড়ে এসআইআর (SIR) ঘোষণার।

দুসপ্তাহ আগেই বাংলায় এসেছিলেন উপ-নির্বাচনী আধিকারিক (Deputy Election Commissioner) জ্ঞানের ভারতী। এর পরই বাংলায় নতুন করে দুজন এসআইআর আধিকারিক নিয়োগ করা হয়। দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলার দুই আইএএস (IAS) আধিকারিক অরুন প্রসাদ এবং হরিশংকর পানিকর। তবে অন্যান্য রাজ্যে এখনও এসআইআর নিয়ে তেমন তৎপরতা শুরু হয়নি। যদিও মাসখানেক আগেই সব রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)।

এবার বৈঠক ডাকা হল জরুরী ভিত্তিতে। মঙ্গলবারই সব রাজ্যের (all states) নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) কাছে চিঠি পৌঁছয় বুধ ও বৃহস্পতিবারের দুদিনের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। এই বৈঠকে থাকবেন আরও কিছু আধিকারিক। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার নিজেই এই বৈঠক পরিচালনা করবেন। বিভিন্ন রাজ্যের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট নেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হবে এসআইআর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে বাংলায় কমিশনের তৎপরতা বেশি থাকলেও গোটা দেশের এসআইআর নিয়েই চিন্তা ভাবনা করছেন নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকায় (voter list) বর্তমান ভোটারদের ম্যাপিং-এর (voter mapping) কাজ অনেকটা হয়ে গিয়েছে, বলে দাবি করেন বাংলার নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। সে ক্ষেত্রে গোটা দেশে একসঙ্গে, না শুধু বাংলাতেই এসআইআর চালু হবে পুজোর পরে, তা স্পষ্ট হবে দুদিনের বৈঠকের পরে।

Post a Comment

Previous Post Next Post