খড়্গপুর IIT-র ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী ‘এই সময় অনলাইন’-কে জানান, পড়ুয়ারা ক্লাসে উপস্থিত থাকলে তা আসলে তাঁদের সামগ্রিক উন্নতিতে সাহায্য করবে। সরাসরি উপস্থিতির হার নিয়ে কড়াকড়ি কমানো হলেও ছাত্ররা যাতে ক্লাসে উপস্থিত হয় সে জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে। পড়ুয়াদের সারা বছর ধরেই নানা রকম অ্যাসেসমেন্টের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বিষয়ে IIT কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা বেশ কিছু অভিনব উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন। পড়ুয়াদের মূল্যায়নের জন্য ক্যুইজ, গ্রুপ অ্যাক্টিভিটি, প্রজেক্ট এবং সারপ্রাইজ় টেস্টের কথা ভাবা হচ্ছে। পরীক্ষার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ যুক্ত হবে এই অ্যাসেসমেন্টের নম্বর থেকেই।
এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট প্রশান্তকুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো, তবে এর ফলাফল পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারিত করা উচিত। সাধারণত যে বয়সে পড়ুয়ারা এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসেন, সে সময়ে তাঁদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ বিশেষ থাকে না। তাই তাঁদের একটা রুটিনের মধ্যে থাকাই ভালো। এতে তাঁদের সামগ্রিক উন্নতি বেশি ভালো হবে বলেই মনে করা হয়।’ তাই এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর করার আগে ছ’মাস বা এক বছর পুরো বিষয়টি দেখে নিয়ে রিভিউয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভাবে কার্যকর করাই ভালো হবে বলে মত তাঁর।