সোমবারই পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে SIR ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই SIR তালিকায় নাম থাকলে, তবেই থাকবে আপনার ভোটাধিকার। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী।
৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন BLOরা। এনিউমারেশন ফর্ম ফিলআপ শুরু হবে। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলবে। এই পর্বই আসল। ফর্ম ফিলআপের সময়ে যথাযথ তথ্য ও তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি দাখিল করতে হবে। দেখা হবে প্রত্যেকের জন্ম, ঠিকানা, নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। তার উপরে নির্ভর করেই তৈরি হবে খসড়া ভোটার তালিকা।
এর আগে ২০০২ সালে SIR হয়েছে বাংলায়। তবে সে সময়ে এ ভাবে ১১টি নথির তালিকা ধরে SIR হয়েছে কি না, মনে করতে পারছেন না অনেকেই। মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই SIR। ফলে যোগ্য ভোটার হলে নাম বাদ যাওয়ার প্রশ্নই নেই, দাবি কমিশনের। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের জন্ম, বড় হওয়া, সবই এ রাজ্যে। কিন্তু ২০০২ সালের SIR তালিকায় নাম নেই। তাঁরা কী করবেন?
২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকলেও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এনিউমারেশন পর্বে ১১টি নথির যে কোনও একটি দেখাতে পারলেই সমস্যা হবে না।
কী সেই ১১টি নথি—
১. কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে পরিচয়পত্র। যিনি পেনশন পান, তিনি পিপিও দেখাতে পারবেন
২. ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, ব্যাঙ্ক, বিমা, পোস্ট অফিস বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র বা র্টিফিকেট
৩. জন্মের শংসাপত্র
৪. পাসপোর্ট
৫. কোনও স্বীকৃত বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত শংসাপত্র
৬. রাজ্যে স্থায়ী বসবাসের কোনও শংসাপত্র
৭. এসসি, এসটি, ওবিসি শংসাপত্র
৮. বনভূমি শংসাপত্র
৯. সরকারি পারিবারিক রেজিস্টার
১০. জমির দলিল বা পরচা
১১. এনআরসি তালিকায় নাম থাকলে তা দাখিল করা যেতে পারে
বিহারে SIR-এর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে প্রামাণ্য নথি হিসেবে আধার কার্ড যুক্ত হয়। সোমবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, এই আধার কার্ড শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়। তাই কেউ আধার দেখালেও, সঙ্গে ১১টি নথির যে কোনও একটি দেখাতেই হবে।