ধূলিয়ান পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটের হাবিবুর রহমান ওরফে জোহরকে লাথি মারার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোটের দিন এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল এলাকায়। বৃদ্ধ কাউন্সিলরের দাবি, তিনি শুধু ভোটারদের কথা মতো মাস্ক দিতে গিয়েছিলেন তাঁদের। সে সময় পিছন থেকে তাঁর কোমরে লাথি মারেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সংশ্লিষ্ট বুথে।
তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কথায়, “৩৩ নম্বর বুথের লাইনে আমি ছিলাম। লাইনের একদিকে মহিলারা আছেন। তাঁরা আমার কাছে মাস্ক চান। আমার কাছে মাস্ক ছিল। তাই আমি তখন মাস্ক দিতে গেলাম। তার পর আমাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বারণ করে। আমি পিছু হটলাম।”
কিন্তু ভোটের লাইনে দাঁড়ানো মহিলারা সমস্বরে তাঁর কাছে মাস্ক চাইতে থাকলে তিনি তা দিতে যান বলে জানান এই বয়স্ক তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “তার পর অনেকটা দূরে সরে যাই। কিন্তু মেয়েরা লাইন থেকে চিৎকার করছেন, ‘মাস্কগুলা দাও, মাস্কগুলা দাও।’ আমি মাস্কগুলো দিতে যাই। তখন আমাকে পিছন দিক থেকে দু’লাথ মারল। মেরেছে আমার কোমরে।”
কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন বয়স্ক ওই কাউন্সিলর। তাঁর চোখ ছলছল করতে দেখা গেল। এই নেতা জানান তিনি এখন হাসপাতালে যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। তাঁর কথায়, ‘আমাকে এ ভাবে অত্যাচার করল শুধু মাস্ক দিতে যাওয়ার জন্য!’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভবানীপুর উপনির্বাচন-সহ ভোট হচ্ছে সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে। এই তিনটি কেন্দ্রে মোট ৯৭৯টি বুথ রয়েছে। ১০০ শতাংশ বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ভোটার ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৬৪।
এদিন সামশেরগঞ্জ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২৭, ২৮ ও ২৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পুলিশ ছুটে আসে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলছে। এলাকায় উত্তজনার সৃষ্টি করে ভোট বানচালের চেষ্টা করছে বলে একে অপরের বিরুদ্ধে দুই দলই অভিযোগ করেছে।
তবে সৌজন্যের ছবিও ধরা পড়েছে এদিনের ভোটে। যেমন জঙ্গিপুর বিধানসভার ১৮৬ নম্বর থেকে এক অন্যরকম ছবি দেখা গেল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ১০০ বছরের এক বৃদ্ধাকে কোলে তুলে এবং স্ট্রেচারে করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন।ওই বৃদ্ধার নাম সার্জু বিবি। বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার আইলের উপর এলাকায়। কেন্দ্রীর বাহিনীর এ হেন ব্যবহার ও সহযোগিতায় ভীষণ খুশি ওই বৃদ্ধার আত্মীয় পরিজনরা। প্রশংসা করেছেন রাজনৈতিক দলগুলির নেতারাও।