এডভাইজারি পর একেবারে সরজমিনে পরিদর্শনে ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।


এডভাইজারি পর একেবারে সরজমিনে পরিদর্শনে ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। আর মাত্র কয়েকটা দিন তার পরেই বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। শহরে প্রায় ২৩০০ কাছাকাছি পুজো মণ্ডপের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে গতকাল এডভাইজারি জারি করার পর এবার রাস্তায় নেমে পরিদর্শন করলেন ডেপুটি মেয়র সঙ্গে ছিলেন  স্থানীয় কাউন্সিলর দেবিকা চক্রবর্তী বোরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা সহ পুর সভার আধিকারিকরা। এদিন বেলগাছীয়া গুরুদ্বারা শিখ সংগত দিয়ে পরিদর্শন শুরু করেন ডেপুটি মেয়র। এই গুরুদ্বারায় প্রায় ১১ বিঘে জমির উপরে অবস্থিত। কিন্তু বেশিভাগ জায়গাই ফাঁকা মাঠ এবং জঞ্জাল ভর্তি। পাশাপশি এই জমিতে মশা লারওয়া পাওয়া গেছে। কিছু দিন আগেই কলকাতা পুর সভার পক্ষ থেকে এই গুরু দ্বারা সংগত কে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও দেখা যায় যে অনেক জায়গায়ই সঠিক ভাবে পরিষ্কার হয়নি। ফলে  গুরুদ্বারা কর্তৃপক্ষ কে সতর্ক করে বিভিন্ন নির্দেশ দেন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। তাদেরকে। আরো সময় দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে জঞ্জাল অপসারণ এবং জল জমা বের করে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন অতীন ঘোষ। তার পরেও যদি তারা না শুনেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান অতীন ঘোষ। এদিন গুরুদ্বারায় মাথা ঠেকিয়ে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তার পরেই শুরু হয় দুর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন। বেলগাচিয়ার সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপে গিয়ে পরিদর্শন করেন অতীন ঘোষ। উদ্যোক্তা দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের কে পরামর্শ দেওয়া হয় যে কোনো জায়গায় বাঁশের ডগায় যাতে জল না জমে থাকে। সেটা দেখার জন্য বিশেষ করে যারা ডেকোরেটরের কাজ করছেন তাদের কে নির্দেশ দেওয়া হয় যে কোনো বাঁশ যাতে সোজা না রেখে বেঁকে রাখা হয়। যাতে বাঁশের মুখে জল না জমে। তার পরেই উত্তর কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত দুর্গা পুজো কমিটি টালা প্রত্যয় পুজো মণ্ডপে যান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন টালা প্রত্যয় পুজো মণ্ডপে পরিদর্শন করার পর পুজো উদ্যোক্তা দের সঙ্গে ও কথা বলেন ডেপুটি মেয়র। তাদের কে একই ভাবে যাবতীয় কার্যকলাপের নির্দেশিকা মেনে কাজ করার নির্দেশ দেন অতীন ঘোষ। তিনি জানান যে কলকাতায় প্রায় ২৩০০ কাছাকাছি দুর্গা পূজা কমিটি রয়েছে। সবার কাছে তার একটাই আবেদন যে বাঙালি দের শ্রেষ্ঠ উৎসব হচ্ছে দুর্গা পুজো। তাই উৎসবের প্রস্তুতি করতে গিয়ে কেউ যাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয়। বা এইরকম পরিস্থিতি তৈরি না হয়। যাতে যারা পুজোর কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ বা দুর্গা পুজোর কমিটির লোকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাই সমস্ত দুর্গা পুজোর কমিটির কাছে তার আবেদন যে পুজো মণ্ডপে যেখনে যেখনে জল জমার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া বিশেষ করে বাঁশের ডগায় কাপড় মাটি বা বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হোক। যাতে সে সমস্ত জায়গায় জল জমে ডেঙ্গু লারওয়া না জন্মায়। এদিন তিনি জানান যে দুর্গা পুজো কমিটি গুলিদের এডভাইজারি জারির করার পর কলকাতা পুর সভার সবার সমস্ত কাউন্সিলর দের চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে তারা তাদের ওয়ার্ডে পুজো মণ্ডপে পরিদর্শন করে বিশেষ করে বাঁশের ডগায় কাপড় দিয়ে মুড়ে ফেলতে বা মাটি বা বালি দিয়ে ভরে দিতে পরামর্শ সংশ্লিষ্ট দুর্গা পূজা কমিটির কর্তৃপক্ষ কে জানিয়ে দেন। আনন্দের উৎসবে যাতে সাধারণ মানুষের নিরানন্দে না হয়ে উঠে। তার জন্য সমস্ত দুর্গা পুজোর কমিটির কাছে আবেদন জানালেন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।

Post a Comment

Previous Post Next Post