সল্টলেকের যুবক সংঘ (আদি ) গনেশ পুজোর উদ্বোধনে ফিরহাদ হাকিম ও গৌতম ঘোষ (চিত্র পরিচালক )। এবার যুবক সংঘের পুজো ১৬ তম বর্ষ। এবার তাদের থিম """"বাংলা আমার মা """। ফিতে কেটে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর উদ্বোধন করা হয়।
ফিরহাদ হাকিম জানান..... বাংলার ভাষার সাথে ধর্মের কোন যোগ নেই। তাহলে বাংলা বলার সময় জনাব বলা হয় কেন? যখন উর্দু বলবো তখন জনাব গৌতম ঘোষ বলব কিন্তু যখন বাংলা বলবো তখন শ্রী ফিরহাদ হাকিম বলব ইংলিশ যখন বলব তখন মিস্টার। এটা আমরা বেশিরভাগ সময় ভুল করি তার কারণ ধর্মের সাথে ভাষার কোন সম্পর্ক নেই। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যখন আমাদের কালচারাল এক্সচেঞ্জ হচ্ছে তাহলে এখনো সেই যারা মাথামোটা একটা সময় ধর্ম ধর্ম নিয়ে মারপিট করতো আজকে তারা ভাষা নিয়ে মারপিট করছে। এটা কেন হবে? বিশ্বের পঞ্চম তম বৃহত্তর ভাষা আমাদের বাংলা ভাষা। সুতরাং সেটা নিয়ে যারা এখনো বাংলাদেশী দেশী ও দেশী যারা করে তারা এখনো মুর্খের স্বর্গে বাস করে। আমরা যারা বাংলার মানুষ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমরা ভারতীয় বাঙালি। আমরা সবাইকে নিতে জানি আর তোমরা এ ওইটা ও ওইটা বলে তাড়াতে জানো। আমরা ছিলাম আছি থাকবো। আমাদের প্রাণের পূজা দুর্গা উৎসব সেই দুর্গাপুজোর বাজনা বেজে উঠলো গণেশ পূজার মাধ্যমে তাই মনের মধ্যে আনন্দ আসছে এবং আমাদের মনটা যেন নেচে উঠছে। আমরা সবাই আনন্দ করবো ভালো থাকবো। সবাইকে ভালো রাখবো।
চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ জানান...... খুব ভালো আমরা বাঙালি উৎসব করি , এই উৎসব তো চলবেই তার সঙ্গে মনে রাখতে হবে বাঙালি আক্রান্ত। সারা ভারতবর্ষে যা হচ্ছে আপনারা কাগজে দেখছেন একটা জিনিস আমরা ভুলে যাই বাঙালি কারা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে , তার সঙ্গে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। একটা বাজে জিনিস চলেছে আপনারা উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে ভুলে যাবেন না যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে খুঁজে খুঁজে বাঙালি মুসলমানদের তারা আক্রমণ করছে কেন? অতি জঘন্য জিনিস চলেছে আমার মনে হয় এটা যদি না থামে বা না থামাতে পারি তাহলে ভবিষ্যতের গৃহযুদ্ধ লাগবে। আমরা বাংলা যেভাবে রয়েছি , আমাদের মধ্যে কোন ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ নেই আর ভেদাভেদ চাই না সেটা মাথায় রেখে পূজো করুন আনন্দ করুন উৎসব পালন করুন।