শনির সকাল থেকে মহানগরীর রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ লালবাজারের


২০২৪ সালের আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and hospital incident) ঘটনার এক বছর পার। ইতিমধ্যেই দোষীকে শাস্তি দিয়েছে আদালত। তবু বিরোধীদের রাজনীতি থামছে না। এবার ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে ৯ অগাস্ট শনিবার কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। পাশাপাশি মৃতার মা-বাবাকে সামনে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নবান্ন (Nabanna) অভিযানেরও ডাক দিয়েছে কিছু গোষ্ঠী। কোনও রকমের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য সজাগ দৃষ্টি লালবাজারে। সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। এদিন ভোর ৪টে থেকে বিদ্যাসাগর সেতু (Second Hooghly Bridge), খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোডে জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া সমস্ত ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। অফিস টাইমে যাত্রীবাহী বাস, ট্যাক্সি চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
লালবাজারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, দিনভর জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড এবং হাওড়া সেতুতে প্রয়োজন মতো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এর আগে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-নাম নিয়ে বিজেপির নেতাকর্মীদের নবান্ন অভিযান ঘিরে বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই এবার আগেভাগেই সতর্ক কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)। জানা গেছে হাওড়ার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বিদ্যাসাগর সেতুতে যাতে কোনও মিছিল উঠতে না পারে, সে জন্য সেতুতে ওঠার সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হচ্ছে। লালবাজারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য দু’টি বিকল্প জায়গাও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। বিধি নিষেধ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কোনভাবেই পথ চলতি সাধারণ মানুষ, শহরবাসী ও অফিস যাত্রীদের যাতে সমস্যা না হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্য সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post