তদন্তের সরাসরি সুবিধাভোগী মমতা', আগুনে অভিযোগে পুলিশকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!


বামফ্রন্টের শাসনের সময় যে কোনও ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাত তৃণমূল কংগ্রেস। সিঙ্গুরের ঘটনা থেকে নন্দীগ্রাম, নানা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হয়েছে। এখন সেই পথেই হাঁটছে বিজেপি। এখন অবশ্য পুলিশের ওপর ভরসার কথা বলে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী সিবিআইয়ের তদন্তের সরাসরি সুফল পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি নন্দীগ্রামের বিধায়কের। 

শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, "সিবিআইয়ের তদন্তের সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" বামফ্রন্ট সরকার বিপাকে পড়ার ক্ষেত্রে এই সিবিআইয়ের তদন্তের বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার দলের রাজ্য দফতরে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পরিবর্তনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমারও একটা ভূমিকা ছিল।"

শুভেন্দুর কথায়, "সিবিআই তদন্তের সরাসরি সুফল পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের কেস, নন্দীগ্রামের কেস- জননী ইঁটভাটায় অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতার, নেতাই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে অভিযুক্তরা ১০ বছর জেল খেটেছে। তখন পুলিশ তো সাপোর্ট দেয়নি।" শুভেন্দুর দাবি, "পোস্ট পোল ভায়োলেন্স মামলায় সিবিআই হয়েছিল বলে এখনও ৪০০ জন জেলে আছে।"  

পুলিশের বর্তমান কাজকর্ম নিয়েও গুরুতর অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। প্রয়োজনের সময় প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশ ফেল করছে বলে তাঁর অভিযোগ। শুভেন্দু বলেন, "দার্জিলিংয়ে এই রাজ্যের ফুল ক্যাবেনেট আটকে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহাড় থেকে নীচে নিয়ে এসেছিল। তখন আমিও মন্ত্রী ছিলাম। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে সাটারের তলায় পুলিশ লুকিয়ে ছিল। তাহেরপুরে তৃণমূল হারার পর ওসিকে সরানো হয়েছে। সাগরদিঘিতেও বিধানসভা হাতছাড়া হওয়ার জন্য় পুলিশ আধিকারিককে সরানো হয়েছে। তবে পরবর্তীতে এই আধিকারিকরা তৈলমর্দন করে পদ ফিরে পেয়েছেন।" তবে শুভেন্দুর দাবি, "এখন ৯০ ভাগ পুলিশ এই বাংলায় পরিবর্তনের পক্ষে।"

Post a Comment

Previous Post Next Post