বিহারে ভোটাধিকার যাত্রার অষ্টম দিনে পূর্ণিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের সাথে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে। কর্ণাটকে এক লক্ষ ভুয়ো ভোটার যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, আজ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। রাহুলের বক্তব্য, “আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম যুক্ত হওয়ার বিষয়ে। আমার কাছ থেকে হলফনামা দাবি করা হয়েছিল। অথচ একই বিষয়ে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর সংবাদ সম্মেলন করলেও তাঁর কাছ থেকে হলফনামা চাওয়া হয়নি। এতে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়।”
তিনি আরও দাবি করেন, বিহারের সর্বত্রই এখন ভোটচুরির অভিযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ সরব হচ্ছেন। তাঁর কথায়, “হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে যেমন ভোট চুরি হয়েছে, বিহারে তা হতে দেব না। মানুষ নিজেরাই আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ নিরপেক্ষভাবে ভোটার তালিকা তৈরি করা, কিন্তু তারা তা করছে না।”
অন্যদিকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন। তাঁর অভিযোগ, “নির্বাচন কমিশন এখন আর নিরপেক্ষ নয়, বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান এবং মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই আমরা এই যাত্রা করছি। গ্রামীণ স্তরেও আমরা ঘুরেছি এবং দেখেছি, নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শেষ হয়ে গেছে।”
এই যাত্রায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তেজস্বী যাদব, মুকেশ সাহনি, সিপিআই(এমএল) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, পাপ্পু যাদব-সহ বহু কংগ্রেস নেতা। যাত্রাকে ঘিরে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।