সাঁকরাইলে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ খুনের মামলা শুরু করল। মৃতের পরিবারের লোকেরা আজও অভিযোগ করেন যুবক সাঁতার জানত। তাই কোনভাবেই জলে ডুবে মৃত্যু হতে পারে না। এটা খুনের ঘটনা হতে পারে। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন।
হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের যুবক কপিল কুমার(২১) মাস দেড়েক আগে সাঁকরাইলের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নেভির মেরিন সংক্রান্ত একটি ৬ মাসের কোর্সের জন্য ভর্তি হন। খরচ হয় ৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ওই কলেজে ক্লাস করেন। গত শনিবার রাখি বন্ধনের দিনে কলেজের মধ্যে ড্রাইভিং পুলে তাকে ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। তারা কলেজে গিয়ে আধিকারিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কলেজ চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। কপিলের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। রবিবার তার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ যেহেতু কপিল সাঁতার জানত তাই জলে ডুবে মৃত্যু হতে পারে না। তাদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কোন সিসিটিভি ফুটেজ দেখাচ্ছে না। এমনকি ওই ড্রাইভিং পুলের আশেপাশে ঘটনার সময় কি ঘটেছিল তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তাদের দেখানো হয়নি। কলেজের কর্মীরা তাদের বলে বেশিরভাগ সিসিটিভি কাজ করছে না। এমনকি ওই ছাত্রের ঘরে যাওয়ার অথবা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতেই তাদের সন্দেহ এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর পেছনে খুনের চক্রান্ত থাকতে পারে।
আজ সাঁকরাইল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে হাওড়া পুলিশ মর্গে ওই ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নার তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর কলেজ বিল্ডিং এর ভিতরের বেশ কয়েকটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেলেও ড্রাইভিং পুলের আশেপাশে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। তাই কি ঘটনা ঘটেছে তা জানতে ওই ছাত্রের বন্ধুদের এবং আধিকারিকদের জেরা করা হতে পারে।
এর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে। আজ বার বার কলেজের প্রশাসনিক অধিকর্তা অনিন্দিতা চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন কথা বলতে চাননি। ফোন বন্ধ ছিল।