মানকুণ্ডুতে রেল অবরোধ, এক ঘণ্টা ধরে বন্ধ ট্রেন চলাচল, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের


চলন্ত ট্রেনে হকারদের উপরে জুলুমবাজির অভিযোগ। প্রতিবাদে মানকুণ্ডু স্টেশনে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ হকারদের। বুধবার দুপুরে এই বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে একের পরে এক হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল। দুপুর ১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রেলকর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তোলা হয় অবস্থান বিক্ষোভ। তবে এই দীর্ঘ বিক্ষোভের জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার যাত্রীরা। স্টেশনে স্টেশনে দেখা যায় যাত্রীদের লম্বা লাইন।

এ দিন জাতীয় বাংলা সম্মেলন নামে এক হকার সংগঠন মানকুণ্ড স্টেশনে অবরোধ করে। সেই সংগঠনের এক সদস্য হিমাদ্রি বটব্যাল বলেন, ‘রেলের হকারদের এই আরপিএফ বাঙালি বলে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেছে। শ্যাওড়াফুলি স্টেশনে আটকে হেনস্থা করেছে। এমনকী এক মহিলার গায়ে হাত তুলেছে। ট্রেনে হকারি করে বলে মারধর করছে। শ্যাওড়াফুলিতে ১২ জনকে আটকেছে, ব্যান্ডেলে ১৫ জনকে আটকে রেখেছে। বলেছে, কোনও বাঙালি হকারকে লাইনে কাজ করতে দেবে না। বাঙালি হকারদের উপরে বাংলার মাটিতেই অত্যাচার করছে আরপিএফ।’

সিমলাগড়ের তারক পরামাণিকও রেলে হকারি করেন। হাওড়া বর্ধমান শাখায় হকারি করেন তিনি। এ দিন তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তারক বলেন, ‘তিনজন আরপিএফ আমাকে অ্যাটাক করেছে। অথচ আমরা সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি। অনেক সময়ে বয়স্ক, মহিলা যাত্রী লাগেজ নিয়ে নামতে পারেন না, আমি ট্রেন মিস করে লাগেজ নামিয়ে অন্য ট্রেনে তুলে দিই। অথচ আমাদের উপরে এ রকম হামলা?’

রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, ‘দুপুর ১টা থেকে প্রায় ২টো ৭ অবধি অবরোধ চলে মানকুণ্ডু স্টেশনে। বহিরাগত কিছু লোক অবরোধ করে। তার জেরে আপ-ডাউন দুই লাইনেই সাতটি লোকাল ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে চলে। শুনেছি অবৈধ হকারকে আটক করা হয়। তা নিয়েই এই ঝামেলা।’


Post a Comment

Previous Post Next Post