কালীপুজোর রাতে তিন তিনটি অগ্নিকাণ্ড হুগলিতে, ফানুস থেকে আগুন লাগল পুজো মণ্ডপে


সোমবার রাতে হুগলিতে তিন-তিনটি অগ্নিকাণ্ড। বরাতজোরে মানুষ প্রাণে বাঁচলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগুন লাগার কারণ ফানুস বা বাজি, এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে প্রাথমিক ভাবে।
চন্দননগরের বৈদ্যপোতায় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির মণ্ডপে আগুন ধরে যায় সোমবার রাতে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ফানুস থেকে এই মণ্ডপে আগুন লাগে। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে মণ্ডপের উপরের অংশ। ওই মণ্ডপে একটি জগদ্ধাত্রী মূর্তিও ছিল। অগ্নিকাণ্ডে মণ্ডপের ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রথমে এলাকার লোকজনই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে দমকলকর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয় কাউন্সিলার ও চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য আবেদন করব। রকেট বা ফানুস না ওড়ালে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এলাকায় একাধিক জায়গায় পুজো হয়। সবাইকে সচেতন হওয়ার আবেদন করব।’

কালীপুজোর রাতে চন্দননগরের বড়বাজারে একটি আবাসনের একটি ফ্ল্যাটেও আগুন লাগে। সেখানে বসবাস করেন এক বৃদ্ধ। আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসার পরেই আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় এক ব্যক্তি সেই চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে অন্যান্য ফ্ল্যাটে তা ছড়িয়ে পড়েনি। তবে ধোঁয়ায় ওই প্রবীণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, দীপাবলির জন্য মোমবাতি জ্বালিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। অনুমান, সেখান থেকেই আগুন লাগে।

পাশাপাশি, এ দিন হুগলিতে আরও একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। চন্দননগর তালপুকুর ধারে দু’টি গুমটি ঘর আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। কী ভাবে সেই আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজির ফুলকি থেকেই আগুন লাগে বলে দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল।



Post a Comment

Previous Post Next Post