হাওয়ার ফেরে ধুলো কমলেও রাজধানীর বাতাসে সেই বিষই


কোথাও ‘ভয়াবহ’ (সিভিয়ার), কোথাও বা ‘অত্যন্ত খারাপ’ (ভেরি পুওর) — দিওয়ালির ৬০ ঘণ্টা পরেও রাজধানী দিল্লির বাতাসের মান সম্পর্কে এমনটাই বিশ্লেষণ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (সিপিসিবি)। ২০ অক্টোবর, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ

রাজধানীর বিভিন্ন মনিটরিং স্টেশনে বাতাসের মান ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, বাজি ফাটানোর পর্ব মিটে গেলে দিল্লির বাতাস আবার শ্বাসযোগ্য অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তেমন হলো না। দীপাবলির ৬০ ঘণ্টা পরেও টাটকা বাতাসের অভাবে দমবন্ধ করা অবস্থা দেশের রাজধানীর।

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ২০ অক্টোবর রাত পর্যন্ত উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা ও শুকনো বাতাস পাঞ্জাবের সমতলভূমি পেরিয়ে দিল্লিতে ঢুকছিল। ওই বাতাসে ভর করে রাজধানীর দিকে এগিয়ে এসেছিল বিস্তীর্ণ কৃষিজমির নাড়া পোড়ার ধোঁয়া। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল নানা ধরনের আতশবাজি ও পটকার ধোঁয়াও। সব মিলিয়ে দিওয়ালির রাতে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা পিএম ২.৫–এর পরিমাণ ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল।

সিপিসিবি–র হিসেবে সে রাতে দিল্লির আরকে পুরমে একটা সময়ে পিএম ২.৫–এর মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ১৪৭৬ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছে যায়। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ দিল্লিতে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা ছিল পাঞ্জাবি বাগ (ঘনমিটারে ১৪৩২ মাইক্রোগ্রাম), তুঘলকাবাদ (১৪১০), ওখলা ফেজ়–টু (১৩৩৯) এবং রোহিণীরও (১০৭৯)। কিন্তু এর ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে অতি দ্রুত কমে গেল পিএম২.৫–এর পরিমাণ।

Post a Comment

Previous Post Next Post