SSKM হাসপাতালে ১৫ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ !


কলকাতা : এসএসকেএম হাসপাতালে ১৫ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। গতকাল দুপুরে ট্রমা কেয়ারের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত আগে এসএসকেএম হাসপাতালের চুক্তি ভিত্তিক ওয়ার্ড বয় ছিল। বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালে কর্মরত সে। আগে কাজ করার সুবাদে এসএসকেএম হাসপাতালের ইউনিফর্ম ছিল তার কাছে। সেই ইউনিফর্ম পরেই অভিযুক্ত হাসপাতালে ঢোকে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল ওপিডিতে চিকিৎসা করাতে আসে নাবালিকা। অভিযোগ, তার পরিবার যখন ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট করাতে ব্যস্ত ছিল তখন নাবালিকাকে ভুলিয়ে ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপরে শৌচাগারে ঢুকিয়ে তাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়। অভিযুক্ত অমিত মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানা।       
 অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এর আগে সে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করত এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই সুযোগ নিয়েই গতকাল অভিযুক্ত ঢুকেছিল হাসপাতালে। গতকাল যখন নাবালিকার পরিবার ওপিডির টিকিট করার কাজে ব্যস্ত ছিল, তখনই ঘটে কাণ্ড। জানা গিয়েছে, বাচ্চাটিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে শৌচাগারে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। হেনস্থার শিকার হয়ে বাঁচার জন্য চিৎকার করে ওঠে বাচ্চাটি। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন হাসপাতালে থাকা পুলিশকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরেই গোটা ঘটনা জানাজানি হয়। হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তবে গতকাল রাতে তাকে ধাপা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আপাতত ভবানীপুর থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।                           

রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, বলা ভাল এক নম্বর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এখানকার ওপিডিতে আসেন চিকিৎসার জন্য। সেখানে আগে কাজ করত এমন একজন অস্থায়ী কর্মী, আগের ইউনিফর্ম থাকার সুবাদে, হাসপাতালে অবাধে প্রবেশ করে যাচ্ছে। স্বভাবতই নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যের নামকরা সরকারি হাসপাতাল যেন অবারিত দ্বার। যে যখন যেভাবে পারছে ঢুকে পড়ছে। চিকিৎসা করাতে আসা নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহও করছে। আবার পালিয়েও যাচ্ছে। তাহলে কোথায় রয়েছে রোগীদের নিরাপত্তা? বারংবার সকলের মনেই উঠছে এই প্রশ্ন। স্বভাবতই আতঙ্কে রয়েছেন রোগী এবং তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা।    


Post a Comment

Previous Post Next Post