আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিম্নচাপটি তৈরি হয় দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এ দিন সকালের বুলেটিনে বিষয়টি জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তৈরি হওয়ার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আজ, বুধবার বিকেলের আগে তা আরও একদফা শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস। তবে যে গতিপথ ধরে সেটি এগোচ্ছে, তার ভিত্তিতে আলিপুরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, ওই ওয়েদার সিস্টেমে বাংলার আশঙ্কার কারণ নেই।
অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি অনেক সময়েই ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল থাকে। তাই, এই সময়ে সমুদ্রে নিম্নচাপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন আবহবিদরা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশ থেকে মৌসুমি বাতাস বিদায় নেওয়ার পরে আন্দামানের উপর তৈরি ঘূর্ণাবর্তের নিম্নচাপে পরিণত হওয়া এবং সেটির গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তিত হওয়া যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ উত্তর–পশ্চিম দিকে মুখ ঘুরিয়ে দেশের পূর্ব উপকূলের দিকে এগোতে থাকবে। সে ক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাডুর সীমানা বরাবর কোনও জায়গা দিয়ে তা দেশের মূল ভূখণ্ডে ঢুকবে বলে মৌসম ভবনের প্রাথমিক হিসেব। যে কারণে দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।
আর দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ইতিমধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে। ফলে অক্টোবর শেষ হতে চললেও কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ঘোরাঘুরি করছে ৩২–৩৩ ডিগ্রির মধ্যে।